কুয়াশা না ধোঁয়াশা!
কেউ তা জানেনা, দেয়নি সে খবর,
এই শহরের ব্যস্ত আবহাওয়া দপ্তর!
শুধু বসে আছে রাস্তারা,
বুক চিরে উঠছে পিলার খাঁড়া,
হাঙ্গরের দাঁতের মতোন!
বাতাসের মুখটা ছিলো ভীষণ গোমরা!
দোয়েল চত্বরের দুটো পাখি,
গিয়েছে ঢেকে,
আগ্নেয় প্রস্তরে জমে থাকা শোকে!


স্তূপাকার সোনালী ফুলের টব গায়ে তার,
হরপ্পার মৃত কারুকাজ!
রেখেছে ভরে আয়নার ওইপারে,
কুয়াশার ডামাডোলে মেঘেদের সাজ।
গম্ভীর বুদ্ধের মুখ,
উঁকি দেয় রাস্তার পাশের গলিতে,
তবু বাতাসের নিকোটিন ক্রমেই যাচ্ছে বেড়ে,
আটকায় নিঃশ্বাস বুকের ভিতরে!
জীবন আমাদের অবশিষ্ট চায়ের পাতার মতো,
জমে থাকে কাপের তলানিতে!
নিয়ম করে চুমুক দেই নোংরা পেয়ালায়,
সেই ভাংগা চীনামাটির ফাটলে,
জমে থাকা জলে,
আমাদের জীবনেরা পার হয়!

এই ঘন কুয়াশায় দমবন্ধ লাগে খুব,
আটকাচ্ছে নিঃশ্বাস!
তবু আজো হারাইনা বিশ্বাস!
পোষা ফুলগাছে ফোটা আদুরে ফুলেরা হাসে,
হয়তো জীবন বাঁচে তেমনি আশ্বাসে,
এই বিষাক্ত ধোঁয়াশার চেম্বারের ভিতর!
মাঝে মাঝে জনতার সাথে কোরাসে বলি,
আহা! জীবন! কি বিচিত্র সুন্দর!