প্রবল ঘূর্ণনে দ্বিমুখী চৌম্বকীয় শক্তির মিথোলজিকাল সংঘাত,
শান্ত পাখিরা শিলাখন্ডের মতো টুপটাপ পড়ে যাচ্ছে ছাদে!
ঝড় এলো অকারণে, মহলের লণ্ঠন নিভে যাবে একটু পরেই,
তখন অন্ধকারে তুমি ও দেয়াল খুনসুটি করো একসাথে!
অপসৃয়মাণ ছায়ার মতো ক্রমশ যাচ্ছ সরে?
সবাই তো সরে যায়! মেঘের ওইপারে এন্ড্রোমিডা ছায়াপথ-
পালাচ্ছে প্রতিদিন দূরে! প্রমোদের তরী কাঁত হলো ঢেঊয়ে,
তবু কেউ ভাসলোনা! শ্বাস টেনে জলে আছে বেঁচে!
শুধু অভাগা এক  ডুবায় ফুসফুস, তীব্র হাঁসফাঁস,
পেয়েছিল পাতালের ডাক; হাতে ছিল ব্যর্থ প্রেমে রঞ্জিত রূবি,  
আয়নায় বাতাসের ছবি! তার ডাক টের পায় দুই গোলার্ধের,  
সমস্ত কবি, এমন ঝড়ের রাতে; ছাদ ছুঁয়ে নামে ঢেউ,
ভীষণ অতল!
তাই কুড়াতে যেওনা জল ছাদে! শিলাখন্ডের মতো ভাঙা মেঘ,
কাঁদবে আজ! তুমি কুড়াতে যেওনা, কোমলে সুপ্ত মন-
হবে চুরমার! কুড়াতে যেওনা আজ!
ধ্বসে পড়া দেয়ালেরা ইমোজির মতো অর্থহীন ইমো দিয়ে,
সারসের সাথে শূন্যে হারালো! রেখে গেলো অন্ধকার অনিমেষ,
বোতলে জমা অমৃতে পুরানো ক্ষুধাদের আস্ফালন!
আজকে না হয় এসোনা তুমি ছাদে!