কয়েকটা লাল ট্রাক খুব জোরে পার হয়ে গেলো,
শাপলার পাতা গিলে নিল জল শেষের চুমুক,
বাতাসে মিশে গেলো, ভেসে গিয়ে ঊড়ে এলো মোড়ে,
কাতরাচ্ছে চাকায় অবিরাম ঘূর্ণনে প্রেমিকের শোক!
পাথরের ধোঁয়ায় ধুলেও শরীর বারবার, কয়েকটা-
ছোরা ফুড়ে গিয়ে শরীরের এপার দেয়ালের ওপারে,      
মিশেও ফিরে এলো, অস্ত্ররা বিরতি নেয়না!  
মাছরাংগার চোখে পানির ফোঁটা; তুমি এলেনা,
মৎস্যস্নানে আধাপচা খোলে ডুবে বসে আছ,
পানা কাদা জমে, রূপালী নারী মাছ হলে নাকি?
উজ্জ্বল আঁশের কারুকাজ; তবু মরে যায় সময়,
ময়দা পুলির মতো ঘড়ির বৃত্ত যদি লম্বা করা যেত!
কয়েকটা লাল ট্রাক শূন্য থেকে ফিরে এলো,
ভেসে এলো! কানে হেডলাইটের গর্জন!    
নীল প্লাস্টিক ঢাকা কার্ডবোর্ডের বাক্সে গাদাগাদি,  
আমাদের মমিরা চলে যায় চাপা দ্বিমাত্রিক ছায়ায়!
জানালায় উঁকি দাও, সময় হবেনা আর,  
ইঁদুরের লাফ দিয়ে উঠে এলো ছেড়া দাঁতে,
কাটছে তরুণাস্থি, তন্তুর জাল,
শহর কাঁদছে নাকি হাসছে! কে জানে এ কেমন চাল!
এখন খেলব না দাবা, লাগছে না ভালো,  
পশ্চিমের হলুদ আলো নিভে গেলো, আবার জ্বলল!
আবার নিভে গেলো! চমৎকার!
লাল ট্রাকের চাকায় সময় চুরির খেলা জমবে এবার,  
তোমার শোবার ঘরে মিটেমিটে ডিমলাইটের আলো,
বন্ধ হয়ে আবার ফিরে এলো!
কয়েকটা পাখি উঁকি দিয়ে চলে গেলো,
কাঁচের ভিতরে তুমি, তোমার ভিতরে কাঁচ,
সব একাকার! তোমার ঘরে আলোটা বন্ধ হলো!  
ভালোবাসা নিভে গেলো? খুব শখ ছিল,
দিয়ে আসি পানের পাতায় সুপারির মতো প্রেম,
সব নিভে গেলো! ডিমলাইটের সাথে!
এতোটা রাস্তা হেঁটে এসেছে গন্ধগোকুল,
তোমার অস্পর্শী ঘ্রাণ নিতে বিপন্ন জনপদে,
আমি দাঁড়িয়ে আছি তো আছিই,
বিলম্বিত বিড়ম্বনা জেনে!  
গন্ধগোকুল কি ফিরে যাবে ঘ্রাণ পাবেনা!
নিভিয়ে দিচ্ছ আলো, তার সুগন্ধি নেবেনা?