গ্রহণের কাল  হলো কি তোমার পার,
আজকের তান্ত্রিকের জমাট বাধা কৃষ্ণ তিথিতে?
কালকেতুও কাঁদে নিরন্তর, গোধিকা হাতে,
তুমি কি করেছ পার দুঃসময় অপার?
ছলনাময়ীর জাল ছড়ানো সব গুলো মোড়ে!
কি খোজ নিরুত্তর আকাশের কাছে?
লেখা আছে পাথরকুচির পাতায় সব উত্তর।
অহল্যা গলে যাবে একদিন ঝকমকে-
লোহার, নিপুণ তীরের আঘাতে, অপেক্ষাতে ব্যাধ!
লক্ষ্যভেদ! লক্ষ্যভেদ! বলে চেচাচ্ছে,
বুড়ো মুণ্ডকেরা স্বয়ংবর সভার!
যদিও জানেনা তারা কি লক্ষ্য অন্তরে তোমার,
বিঁধে বসে আছ কতগুলো মাছ, চোখ, পাখির পালক!


তবু আশা বুকে নিয়ে এখনো তো তুমি,
তীরন্দাজকে খোঁজ! ঘুমঘোরে শোন হ্রেষা ধ্বনি,
পুরাতন গন্ধের মতোন! জমে থাকে বাসি জামদানি!
এইসব নিয়ে ভালো আছো তো মেয়ে দুঃখ শায়েরী?
নেচে নেচে গান গায় অন্ধ তরংগেরে ছুয়ে,
শংখমালার চেয়েও বেশি পুরাতন শংখচিলেরা,
তীব্র করূণ তার সুর হুয়নি কি শেষ!
নীল জল কেঁদে কেঁদে নিঃশেষ, নেই আর অবশেষ!
তবু ভাগফলের শূন্যের মতো মিলিয়ে যায়নি কেন,
জীয়ল কূপের জল!
মেয়েটা সান্ধ্যভ্রমণে আসে পাখিদের সাথে করে খুনসুটি,
চোখ তার লোনা নদীটার মতো আজো টলমল!


এখনো কার্ণিশে বসে একজোড়া অভিমানী চোখ,
খোঁজে উত্তর আকাশের কাছে!
লু হাওয়ায় যায় উড়ে আবেগের সংবৃত আবরণ,
চৈনিক রাণীদের রেশমের ওড়নার মতোন!
উষ্ণ বাতাসে উড়ে আরো কতো উষ্ণতা,
চুরি হওয়া ভালোবাসা নাকি বিক্ষুব্ধ অপ্রাপ্যতা!
বলে যাও কৃষ্ণবিবর পার কি হলো তার
অভিশপ্ত কাল?
বন্ধ করে আগ্রাসী ডিনারে ধেড়ে হাংগরের মতো-
ছায়াপথ গিলে খাওয়ার অভ্যাস,
সামান্য উত্তর তাকে দিয়ে যাও আজ,
আর কতোকাল সে দিবে পাহারা নক্ষত্রের পাল?
কৃষ্ণ বিবর দিয়ে যাও উত্তর!


মেয়ে তুমি নক্ষত্রের প্রহরী,
প্রতিটি রহস্যের রাত, নির্ঘুম ভোর একা জেগে,
সবগুলো তারা দিচ্ছ পাহারা!
ফিরে যায় দুঃস্বপ্নে আসা প্রেত ও পিশাচেরা,
নিজ আকাশের অধিকার ছেড়ে আজো পালায়না,
কোন ফুল্লুরা!