শোন হরিণী, প্রেম ভীরুদের খেলা নয়,
প্রেম রক্তের অন্তর্লীন মহাপ্রলয়ের উল্লাস,
লবণাক্ত জলোচ্ছাস!
যখন সে উঠে সুনামির মতো তীব্র কম্পনে,
ডুবে যায় মরূদ্যানের মতো অসহায় দ্বীপ!
প্রেম মহাসমুদ্রের মতো উন্মত্ত উচ্ছাস,
অনবরত আসা বিরহের কুমিরের সাথে,
জলে শরীর ঢেকে, নেমে আসে ত্রাস,
এতো ভীরুদের খেলা নয়!


প্রেম জাগ্রত দেবীর পাদপদ্মে,
রক্ত লাল অর্ঘ্য চায়!
প্রেম ভীরু পুজারীর পূজা নয়,
জেনে শুনে রেখে দিতে হয় টগবগে হৃদয়,
প্রণয়ের প্রণতিতে প্রতিদিন!
রেকাবিতে তুলে রক্তজবার সাথে অন্তর্গত মন,
বিনা শর্তে দিতে হয় পূর্ণ বিসর্জন!
প্রেম হরিণীর মতো ভীরু বক্ষে
দ্রুত পলায়নে, নিয়ত ব্যর্থ হয়!
বুকে জমে থাকে অশ্রুত ক্ষোভের রেকর্ড,
শতাব্দীর হাহাকারে ধুলা জমে শুধু থাকে,
অবশিষ্ট দীর্ঘশ্বাস!
এতো ভীতুদের কাজ নয়! প্রেম অঞ্জলি চায়!
খুঁটে খুঁটে সবটুকু ভালো থাকা,
কেটে দিতে হয়, অজান্তে বাড়ে বিষণ্ণতার গাছ,
মেলে তার ডালপালা শরীরের ভিতর।  
তরূন সিংহের তেজে,
নিশ্চিত জেনেও,সামনের পুরোটাই চোরাবালি,
দিতে হয় লাফ, শুধু পেতে কাঙ্ক্ষিত চুম্বন,
একবার প্রেমিকার ঠোঁটে রেখে ঠোঁট,
হাতে রেখে তার আপ্লুত উষ্ণ হাত!  


প্রিয়! প্রেম হরিণীর মতো অতো ভীরু নয়!
হরিণী! তবু প্রেম তোমার মতোই চঞ্চলা,
সরলরেখার মতো সহজ সে নয়!