ঘুম চাই, এক পেয়ালা ঘুম!
তাও যদি খুব দুর্লভ হয়; নাহয়-
এক চামুচ ঘুম চাই; সামান্য ঘুম চাই;
আমার এ দুই ক্লান্ত চোখে কিঞ্চিৎ স্বস্তি চাই,
প্রস্তর-নবপ্রস্তর-সুমেরীয় যুগ পার হয়ে-
জেগে; পাহারায় আছি মধ্য-যুগের।  
প্রতিটি প্রহর তোমরা কাটিয়ে দাও ঘুমে,
আমি জেগে থাকি; অনিদ্রাসারথি!


জানিনা তোমাদের মতো ঘুমাইনি কতোকাল!
সাধারণ বিছানায়, খড়ের বালিশে ছুঁয়ে মাথা,
নিশ্চিন্ত ঘুম আসেনা কতোদিন!
যদি কোন বণিককে পাই, কার্থেজ, রোম-
অথবা বুখারার কোন জমাট বাজারে,
আমি চেয়ে নেবো একটুখানি ঘুমের সন্ধান।


চোখের পলকে ঘুম চাই, চোখ বন্ধ হলেই ঘুম চাই,
বিষণ্ণ রাত আরো ঘন হলে, গাড় ঘুম চাই।
নিঃস্তব্ধ পালকির মতো ভয়াবহ নির্জন এক-
রথ; যেন আমার বিছানা অন্ধ শুন্যে ভাসে!
শুয়ে থাকি শত বছরের নিঃসঙ্গতা নিয়ে একা,
আমি অভিশপ্ত অনিদ্রাসারথি!
জানি কি বিষাক্ত ব্যথাতে হয় পার নিঃর্ঘুম কাল,
জানি কেমন তীব্র হয় ঘুমের বাসনা।


গভীর চাঁদের রাত তোমাদের হাসিতে উজ্জ্বল,
নামে সে খুজতে তার পৌরাণিক পুরুষ।
এ স্বর্গীয় দৃশ্য আমি দেখেছি হাজার বছর,
এখন ক্লান্ত লাগে, দেখতে চাই না আর!


আমি চাই এক থালা নিবিড় ঘুম; স্বস্তিময়!
নাড়িকেল জিঞ্জিরার প্রশান্ত বাতাসের মতো মুগ্ধ ঘুম!
অনিদ্রার রথ ছেড়ে আমি তোমাদের কাছে ফিরতে চাই,
অনিদ্রা শিবির হতে তোমাদেরই পাশে আসতে চাই।
ভাঙ্গা কুড়ের ছাউনির কোণে, পুরনো কাঁথার আলিঙ্গনে,
আমি চির অনিদ্রাসারথি, চাই একটু ঘুমের আশ্বাস!