চাঁদটা উড়ে যাচ্ছিল লাল পাহাড়ের উপর,
আকাশের হলুদ চোখ, জমানো ধুলোয়,
মিশ্রিত মিছরির ঘ্রাণ!
সবকিছু মিলে তৈরী একটা ভাড়াটে জাহাজে,
সোয়াহিলি সিনবাদ স্তব্ধতা জড়িয়ে,
মৃত হাবশীর পাশে নেকড়ের মতো ক্রন্দনরত,
এখানে দাসের পায়ের আওয়াজ যায় হারিয়ে!
অবেলায় বসে আছে মরূর বেবুন, সাদা দাত,
তীব্র ছুরির ধার; দিচ্ছে অশরীরি চিৎকার!
পায়ের নীচে জমাট বাধা রক্তাক্ত লবণ,
নির্বোধের মতো জেগে থাকা বারণ!
শুকনো কাঠ মৃত উপকূলে থেমে আছে,
নাকি ঢাকা পড়ে আছে?
শুকনো হাড়ের স্তুপে উদগীরিত মৃতের গন্ধ,
হাজার বছরেও হয়নি বন্ধ!
জেগে থাকা বারণ! সিনবাদ সরিয়ে নাও-
রক্তাক্ত হাত,
হাবশীর কান্না যে লেগে আছে ওইখানে!


লিবিয়ান মিথের মতো থমথমে,
পোড়া মাটি কেটে বাঁধা ঘর! অশ্রুত গুঞ্জন,
লেপটিস ম্যাগনা থেকে আসা ক্যারাভান,
আরো কিছু রথ হারিয়েছে পথ বৈকালিক বালুতে!
তুরায়েগ মেয়েরা শক্ত হাতে পোড়াচ্ছে উট,
কাবাবের গন্ধে, মাটির ছাদ ফুড়ে,
উঁকি দেয় রোমান শেয়াল; তীব্র জ্বরে লুপ্ত,
হিতাহিত জ্ঞান, এতোগুলো আলো নিয়েও
শীতল আকাশ! ক্ষুধার আগুনে সব পুড়ে খাকি!
অনেক সময় ভাবি তোমার হাতের তালু জীবন্ত,
আবসিনিয়ার পথে পাড়ি দিল সন্ত,
হলুদ আকাশ বাধা ক্রুশের উপর!
বোটকা গন্ধের মতো আটকানো জীবন,
তবু খোয়াড়ে কোন ঘাস নেই!
এসো পাশে এসে বসো,
মৃত উপকথা!