আমার সাথে ঘুরবে শহর, সকাল থেকে আস্ত দুপুর,
অচিন পাড়ার অচেনা মোড়,
এমন কথাই দিয়েছিলে, পার হয়েছে অনেক বছর!
এখন বুঝি একাই হাঁটো, টইটুম্বুর রোদের দুপুর,
এলে মেঘমাদলের বান।


ঝোলা শার্টটা ঝুলিয়ে গাঁয়ে একটা জিরাফ উঁচু গলার,
লম্বা পায়ে যেমন ঘোরে নাম না জানা রাস্তাগুলোয়,
শুনেছি এখনো তেমনি আছো!
আগের চাইতেও জোরেই হাঁটো! কষ্ট হয়না?
একা একা কান্না পায়না? আমারতো চোখ জলে ঠাসা,
একলা হলেই বাঁধ ভেঙ্গে যায়;
বলতে তুমি এতো জলে শহর নাকি যাবে ভেসে,
ভাসবে মানুষ, তালপাতারা, একটি ফুল নয়নতারা!
কেউ ভাসেনি এখনো জানো,
শুধু আমি ডুবলাম ঘোর অতলে, তল পাইনা আর!    


খুব সকালে নাস্তা সেরে নামবো দুজন ঘটা করে,
আস্ত দুপুর, আস্ত রাত,
ঘুরবো আমরা লাটিম হয়ে, বৃত্তসম গতি!  
লালবাগ আর আর্মানিটোলা! ভুলেই গেলে নাকি!
এখনো জানো হরহামেশাই সেই আশাতেই থাকি!
শুধু ঘরের বারান্দাতে যত্নে পালা আহ্লাদী এক,
মিষ্টি তোতা পাখি, বেসুরো গলায় রেকর্ড বাজায়,
‘সবই তো দেখি ফাঁকি!’


লাল ঘুড়িটার কাটাকাটি নীল পাখিটার লেজের সাথে,
এমন বিকালে লেকের জলে, ভালোবাসার চাষআবাদ,
করবে বলে সেই হারালে!
পাইনা দেখা আর! স্ক্রিনের আলোয় নেই সিগনাল,
আশায় থাকি বার্তা পাবার। ভুলেই গেলে নাকি!  


গরম কাবাব ঝাঁঝালো ধোঁয়ায় পুড়ায় আমার বুক,
হঠাত যদি ভীড়ের মাঝে যাদুর মতো দাঁড়াও পাশে,
বুক করে ধুকপুক!
কিংবা হঠাত হাতটা ধরে বলেই বসো খুব আবেগে,
আজকে চল মাতাল হবো,
রাতের আকাশ কিনে নেব,
এক ডাকেতেই রাজী হব, কথা দিচ্ছি রাজী হব!  
মধ্যরাতে মাতাল হবো, ছায়াপথের পথিক হব!  
আগের মত আলতো করে বসিয়ে নিও পাশে,
বিনা দ্বিধায় রাজী হবো! জানি তুমি আসবে না আর,
কাঁদছে দোয়েল কলমি ফুলে,
অনেক বছর হয়েই গেলো, ভেজা হয়না বৃষ্টি এলে।
তবু তোমার অপেক্ষাতে,
এই জীবনটা হয়েই গেলো পার।