(১)
তেজী ঘোড়াটার ক্ষুর ডেবে গেলো মাটিতে,
উল্টে গড়ালো রথ, গলফের বল!
তবু অক্ষত তুমি! মোমের মতোন পা,
হাতির দাঁতের জুতো পড়ে রাস্তায় প্রাতস্নান,
এখানেই ডিনার-লাঞ্চ, পথ শেষ করো!
যা কিছু পরবে চোখে খুট করে কেটে দাও,
পুনর্জন্মের স্বাদ পাবে সবে!      
স্প্যানিশ গিটার নিয়ে কর্ণের কারিকুরি,
যে হাত অস্ত্র ধরে, সেখানে কি মানায় সংগীত!    
বারবার ডেবে যায় চাকা,  
কেউ বাঁচে অলৌকিকে, মৃত্যুই লৌকিক!  
দৌড়াচ্ছ কেন লক্ষী, পিছনে শ্মশান,
যতোই ছক্কা হাঁকাও, ছুঁয়ে দিবে ঠিক!


(২)
আর কতো হিসাবের চাল চালবে বলতো?
রাস্তারা কাঁটার ঝোপ! অদৃশ্যে ঘাপটি মেরে আছে-
স্নাইপার! এটাই তো খেলা নিরন্তর!  
সাথে তার হাঁটো যদি পাও প্রেয়সী মনের মতো,
প্রেম ও প্রতিদ্বন্দিতা মিলনোম্মুখ দুই সরীসৃপ,
সামান্য ভুল হলে চুম্বনের বদলে,
গলায় বসিয়ে দিবে নিউরোটক্সিক বিষ!  
এই ছক কাটা জীবন সিওরালিওনের স্থলের মাইন,
নারী মনের চেয়েও দোলাচলে বেশি অনিশ্চিত,
টুপ করে গুলি খাবে! ফট করে ফিরে যাবে ঘরে!
আবার কান্না পেলে রাস্তায় এসে যাবে,
টুপ করে গুলি খাবে!
সুযোগ পেলে তুমিও খতম কর,  
দু একটা লাশে নাকি বাড়েনা লুডোবোর্ডের ভার,
তারপর তুমিও খতম হবে, একদিন ফিরে যাবে!


(৩)
গোলকুন্ডার গোলকধাঁধার পথ শেষ হলে ঘুরে,
একদিন গুটিগুলো পৌছে যাবে মর্গের ঘরে!  
সমস্ত হিসাবের শেষ! সব খেলা শেষ!
থাকবেনা নীট লাভ ক্ষতি, জমা খরচের খতিয়ানে
ময়লা ছত্রাক,
শূন্য শূন্য বলে কাদবে না আর নীলগুটি লালগুটি,
তার চেয়ে বরং ভালো খেলি কাটাকুটি!
মরে গিয়ে ফিরে যাই! ফিরে এসে মরি!  


(৪)
খেলতে খেলতে মানুষেরা গুটি হয়ে গেলে,
লালগুটি, নীলগুটি! ত্রিমাত্রার দ্বিমাত্রিকে অধঃপতন,
কেউ ছকের রেসে তাদের ধরলে বাজি-
তেজের কেশরী ঘোড়া! কিভাবে জানবে?
কোন কোণে ঘাপটি মেরে বসে আছে আততায়ী?
পুরোটা রাস্তা শুধু অন্ধ ভবিষ্যত,
অন্য গুটি নিজ স্বার্থে চালাবে কিভাবে তারা;
থাকবেনা ম্যাপ, কৃত্তিম উপগ্রহ দিবেনা সংকেত,
কিছুই তো জানবেনা! কি আছে ভবিষ্য রাস্তার মাথায়!  
তাদের ছক্কা-পুট কারো হাত একচ্ছত্র চাললে,
আমিত্ব খেলার গুটি, এই বোধ হবে কি তখন?
অথবা প্রবৃত্তিবশত হেঁটে ছককাটা বোর্ডে,
বাঁচা মরা অনিশ্চিত; নির্দ্বিধায় অন্যকে কেটে মেরে,
কেউ কেউ পৌছে যাবে মৃত্যুর শেষ ঘরে!