মায়ার হরিণ পালিয়ে যাচ্ছে,
শহর পোড়া রোদ।
কোথায় গেলো সাদা জিরাফ, বিলুপ্ত দিন,
লুকানো হৃদয়, শিকারীর রাইফেল প্রস্তুত!
জলকে বলো একলা ঘুরে তোমার ঘরে,
আসুক আবার!
ঝোপের আড়ালে, কার ছায়া ঘুরছে এমন,
নাচের মতোন;
জলকে বলো দিক ছুঁয়ে দিক,
পালিয়ে যাচ্ছে মায়ার হরিণ!


জোনাকি নেবে প্লেট ভরে সন্ধ্যাবেলা,
হাতে মাখবো, মুখে মাখবে!
দুঃখ রেখোনা, এক বিকালে সাঙ্গ হবে খেলা।
জোনাকি উড়াবো অনেক দূরে,
আকাশ তো আর যায়না ছোঁয়া।
জলকে বলো যাক ছুঁয়ে যাক,
আলোর দিনে শুষ্ক শহর, পানীয় পাইনা খুঁজে!
কাদছে হরিণ, মায়ার হরিণ,
ডাকছে কাকে বলো!
আমার কষ্ট শেষ প্রহরে বিসর্জনেই যাক,
তবুও বাচুক মায়ার হরিণ; জলকে যাব চলো!


একটা মানুষ, দুইটা মানুষ, অনেকে মিলে শূন্য,
আসবে তুমি? সভ্য জীবন হঠাত হলে খুব বন্য!
কাকতাড়ুয়ার জংগলে ঝড়াপাতায় কীটপতংগ,
শব্দ শুনে ভয় পাবেনা?
জলকে বলো ছুঁয়ে দিবে।
বনের ফাঁকে হারিয়ে ফেলোনা মায়ার হরিণ!
মিলিয়ে গিয়েছে সকল হাসি,
ছন্নছেড়া জীবন বাজি,
তোমায় অনেক ভালোবাসি!


চাঁদ ডুবে যায় কালো জলে ভৈরবের স্রোতে,
ধীরে ধীরে আমাদের মনের মতোন!
বহুদূরে কালো বিন্দুর মতো মায়ার হরিণ,
সরে যায়! সরে যায়!
বিসর্জনের শব্দ বাজছে ছলাৎ ছলাৎ,
তবু আগামী তিথির প্রত্যাশা নিয়ে চোখ বুজি,
প্রতিদিন প্রতিরাত!