মেঘ নিয়ে যাও! মেঘ নিয়ে যাও!
ছাদের উপর জমানো জল,
শান দেওয়া ঝকমকে ছুরির মতোন তীব্র আক্ষেপে,
পায়চারি করো; দলভ্রষ্ট হরিণীর সাথে-
তুমিও তো এখন!
কালো আইরিশে কষ্টের কার্বন লক্ষ বছর জমে,
হীরার আকর হয়ে জ্বলে টলমল!
চলো মেঘদের বেচা কেনা করি,
আকাশের কান্না পেলে সেও দেখায় আবেগ,
তুলোর মতোন পেঁজা পেঁজা দুঃখের মেঘ।
হাতির পালের মতো বৃংহিতে আসে যায়,
অনেক মেঘেরা!
যুথচারীদের গর্জনে কম্পিত পৃথিবীর মন,
তবু সন্ধ্যাচর মেঘেরা তোমারই নিজস্ব জন!  
কখনো হৃদয়ের ভাঙ্গা স্তম্ভের মতো খসে পড়ে,
মেঘের মাহুত!  
ধুপধাপ শব্দে তার কেন কাঁদো অগোচরে সবার?
যাও মেঘ কিনে আনো,
স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলার ছাদে!
বুড়ো টিকটিকি চুপিসারে দিলে উঁকি,
মিটিমিটি হেসে মেঘ এনে ফেলে দাও চাঁদোয়ার মতো,
প্রিয় ছাদটার মরিচা জড়ানো রেলিঙের উপর!
ধুলার দুঃখিনীরা এমন করেছে কতো,
পারিজাত বনে! কিনে আনো কিছু মেঘ কষ্টের দামে!
অনেক তো জমে আছে হৃদয়ের রুদ্ধ ভল্টে,
গুপ্তধনের চকচকে স্বর্ণ মুদ্রার মতো কষ্টের স্তূপ,
প্রতিদিন মেঘ কিনে শেষ করে ফেলো সব!
বিকালের সান্ধ্য আলোয়, শূন্য করো সঞ্চিত কষ্ট যত,
অমিতব্যয়ীর মতো!    


হালকা পাখির মতো উড়ন্ত ছোপছোপ মেঘেদের পাল,
তোমার পাগল চুলে নেই ক্ষতি ছুঁয়ে দিলে,
ধরে এনো হাত মেলে!
মাতাল বুনো ঘোড়া হয়ে কিছু মেঘ ঝড় আনে,
এমন তো কতো ঝড় আসে অকারণে,
মনের গহীনে!
তাদের জাপটে ধরে আনতেই পারো,
তোমার একান্ত ব্যক্তিগত বৈকালিক ছাদে!
সবগুলো মেঘ তুমি পুষতেই পারো আকাশের নীলে,
ক্ষতি নেই তাতে,
জল হয়ে যদি কষ্টেরা নামে উপসাগরের জলে!
যেসব মেঘ পুড়ে যায় ডুবে যাওয়া সৌরআলোয়,
লাল কাঁকড়ার মতো করে ছটপট অসহ্য উত্তাপে!
তাদের ও কি মন তোমার মতোন,
অঙ্গার হয়েছিল হঠাত আগুনে?
কিনে নিও তাদের না হয় তোমার নিজস্ব বিকালে,
দুঃখের ভাগ নিয়ে উষ্ণ বরফের মতো গলে যাবে তারা,  
দুঃসময়ের বনবাস কালে!