রাতের গভীর জলে অচেনা এই শ্রান্ত শহরে,
চাকচিক্যের রূপসীরা ফিরে গিয়েছে ঘরে!
সবাইতো ফিরে যায় কালির মতো আর্দ্র সন্ধ্যায়,
অদ্ভুত কিছু আলো; অচেনা মানুষের মত লোক-
হাঁটে! আর রাস্তাটা জ্যন্ত পথিক,
জমিয়ে রেখছে অনেক বিলাপ! সেও হাঁটে!
ধুলামাখা দেয়ালে কারা যেনো দিয়েছে ছাপ,
কয়েকটা দুঃখের আঙ্গুল নাড়া দেয়া ভাগ্যরেখায়,
ছাপ নয় তোমার হাতের সাথে তীব্র আলিঙ্গনে,
আমার আটকানো হাত! এটাই এখানে!
নিঃস্তব্ধ দেয়ালের রাতে অপেক্ষায় থাকি জানো,
হঠাত বৃষ্টি এলে নাচে শহরের জল, একাই-
গড়িয়ে যায় চুপসানো কিছু ফুটবল!
তীব্র প্রতিফলন! হেডলাইটের সাথে ঘষা বর্ষণ,
তোমাকেই দেখি আজকাল, অধরা আলোয়!  
এ শহর আজ শুধু তুমিময়! তুমিময়!  
কয়েকটা রাজস্থানি ময়ুর কোবাল্ট নীলের মতো,
উজ্জ্বল গলা, নাচছে তো নাচছেই,
পেখমে জলের কণা লেগে কেটে কেটে পড়ছে,
টুকরো টুকরো হয়ে রাজপথে!
তুমি না বলতে মুক্তা কুড়াবে নীল রাস্তায়,
চলে এসো আজ! ময়ুরের নাচ দেখে বৃষ্টি কুড়াই
তাদের চোখের ভাষা জলের মতো কল্লোলিত,
তবু মেঘদল আজো নাকি থাকে,
তোমার মায়াময় চোখের তারায়!
চলে এসো আজ! ভেসে যায় ময়ুরেরা,
পেখমের অণু পরমাণু উড়ে যায় ঝড়ে মিশে,
সাতরঙ্গা ঝড়! খুলে দিও পাশের জানালাটা,
হয়তো ভেঙ্গে যাবে এন্টিকের দামী ফুলদানী,
বাতাস করবে মাতলামি! তবুও পাগল জলে,
তোমার বিছানা, ঘুমন্ত চোখ, এলো চুলে,
ছুঁয়ে যাবে বিরহী আকাশ,
খুলে রেখো জানালাটা আজ!