ঘড়িকে বলেছিলাম তুমি ঘুড়ো,
অনন্তচক্রের মতো সোনালী স্মৃতির কাবিনে,
উচ্ছল ব্যঞ্জনা নিয়ে ঘুড়ো!
বারবার বৃত্তাকারে তার প্রেম ফিরে এলে,
কি এমন ক্ষতি ছিলো?
নীলাম্বরে ছায়াপথ বারবার ডুবে গেলে,
কি এমন ক্ষতি ছিলো!
তবু একদিন বৃদ্ধ বল্গাহরিণের মতো,
ঘড়িটার সবকটা কাটা থেমে যাবে!
থেমে যাবে! শুধু আরণ্যক অন্ধকার চিরায়ত!
স্বর্গ নরকের ধূম্রময় আবর্তন খেলে যায় যতো,
হুট করে ঘড়িটার মৃত ব্যাটারির মতো,
একেবারে স্তব্ধ হবে! সময়ের গ্রাফে-
চোয়াচ্ছে রাজঅম্ল সালফিউরিক,
পুড়ছে হিসাব ঠিক!


বিগত দেবীর অর্চনাকে ভেবে ভেবে,
কেউই দেয়না ডুব নীল জলে আর,
তাও প্রেমে ডুবে আজো মরে যাই বারবার!
থেমোনা থেমোনা ঘড়ি,
এতো আদিম আজন্ম আবদার!
তবু বিদ্ধস্ত উড়োজাহাজের মতো অশক্ত বিকালে,
দুম করে ধোয়ার কুন্ডলী বয়ে আনে ভয়,
প্রতিটি ডায়ালে অপেক্ষারত মুমূর্ষু সময়,
কে বলো থামাতে পারে তার ধংসের গতি!
সময় আত্মঘাতী; কিভাবে বাঁধব তাকে-
পার্থিব ডায়ালে! কে পেরেছে বাঁচাতে এই অবধি,
খাঁচায় ফিনিক্স পাখি?
সে থেমে যাবে বলে থামেনি অন্তরীক্ষে বনস্পতি,
তার অন্তর্লীন ঝড়; প্রস্ফুটিত কোমল অঝর;  
অন্তরের বিবরে জমিয়ে রেখেছি অরূণার রাগিণী,
সেটুকুই অমর!