তুমি নাকি অজ্ঞাতবাসে আছ?
কৌরবের গৌরবে আজো হস্তিনাপুর রক্তে লাল।
বুকের পাঁজরে অদেখা রক্তের ছোপ আমারো তো আছে,
পাওনি দেখা কি তার কখনোই!
খাণ্ডবদাহনের আগুন কখনো সখনো পড়েনা চোখেতে,
তবু পুড়ে যায় প্রাণ অগণিত!  
শকুনির পাশা বারেবারে আমাদের মনে,
জাগিয়েছে প্রত্যাশা! চলো খেলি সর্বস্ব বাজি রেখে!
কিই বা আছে বলো মিছে ছুটে ভীরু জীবনের পিছে,
হয়তো প্রেম পাবো অথবা শূন্যতা!
মানুষের মন জুয়াড়ির মতো চায় ঝুঁকি নিতে।
বৃদ্ধ সিংহের পাশে পরাজয় মেনে পড়ে আছে তৃণভূমে,
তোমার দেবতা!
প্রেম তো হয়না নিহত নিয়তির বাণে-  
তবু অজ্ঞাতবাসে গেলে তুমি।
কতগুলো মূষিক কি টেনে নিয়ে গেলো জয়ের ঘুঁটিটা,
তোমার নজরের আড়ালে!


এই অচিন্ত্য অজ্ঞাতবাস কি নিয়তির লিখন?
এক রূড় যুদ্ধ আমাদের মন যাচ্ছে করে সহস্রাব্দ ধরে।
তোমার অজ্ঞাতবাস সুপ্ত পতঙ্গের জীবনের মতো,
কতো নগরীর খোলের ভিতর খেলা হলো এতোকাল!
উন্মাদের মতো খুঁজে যতোবার পৌঁছেছি কাছে,
হাম্মুরাবির পাথরের দেয়ালে গেঁথে গিয়েছে নিয়তি!
ভাগ্যফলক দেবতারা রেখে দিলো তাদের কুঠুরিতে,
হাওয়া হয়ে যায় তাই গাড়ি, ঘোড়া, সুরম্য বিপণি।
তবু আজো চোখে বেঁধে রাখি তোমার চোখের মণি,
ওইখানে মহাবিশ্ব আমার! তুমি অজ্ঞাতবাসে!
একদিন পাশা খেলবোই ঠিকঠাক,
ধমনীর উৎক্ষিপ্ত রক্তে ঢেকে দিবো মূষিকের চোখ,
সেইদিন প্রিয়তমা শেষ হবে এই নির্মম খেলা,
জিতে যাবে আজন্ম দুঃখ পিয়াসী এক নগণ্য মানব।