কথা ছিলো অশ্বারোহী হব অথবা,
বোহেমিয়ান খ্যাপাটে! ধরবো জাপটে-
কারণে-অকারণে নীল পানি মর্মরে-
নিখিল বাতাস! তবু একদিন উল্কাবৃষ্টির রাতে,
তুমি বুঝি এসেছিলে দক্ষিণের জলছাদে!
কে বেশি চন্দ্রাহত তুমি নাকি আমি?
সেই নিয়ে হল কতো খুনসুটি!  
সরেছে সে ছাদ, এখন তোমার নিজস্ব প্রাসাদ,
দুঃখিনী বারান্দায় অভিষিক্ত মুকুটের রাণী!
আমিতো দাঁড়িয়ে আছি এখানেই স্থির,
বহুদূর! তবু নয় বেশি দূর,
মিশে আছে মধ্যাহ্নের সাথে রাত্রিদুপুর!
  
চন্দ্রদ্বীপের সুবর্ণ স্রোতে ভিজিয়ে মুখ,
একাকিনী তুমি আহত হলে-
তীক্ষ শ্বাসমূলে! লবণাক্ত রক্তেও জন্ম নেয়-
প্রতিদিন অসংখ্য ম্যানগ্রোভ!
নীরবতা হৃদয়ের চিঠি, এড়িয়ে সমস্ত দিঠি,
ছুঁতে গিয়েও সরিয়ে নিলাম অবাধ্য হাত,
নিজের মতোই কাঁদ; তুমি মায়ার ময়ূখ!


লক্ষ লক্ষ মন চুরি তো করিনি,
তবু একটি আহত মন ওজনে সবার বেশি!
জোনাকিরা নিভে গেলে কি করার থাকে-
আর রাত্রির?
বুড়ো মঠটার সিঁড়িতে বসে ফোঁপানো-
ছাড়া; রাস্তার জল ভেংগে এলো ছায়াতলে,
মেঘে ঢাকা তারা! নক্ষত্র পতনোন্মুখ হলে,
কেউতো পারেনা রজ্জুর দৃড় প্যাঁচে-
ঠেকাতে পতন তার!


ভোরের দখলে মর্নিংওয়াকে ব্যস্ত সকলে,
কয়েকটা ঝরা ফুল অলকানন্দার তলে,
শিশিরের সাথে করে মাখামাখি!
তাদের কুড়াতে এসে ফেঁসে গেল প্রেমে,
রাতজাগা দুইটি অচিন পাখি!
এখানে বিলবোর্ডে হাসি তোমার মতোন,
লেকের ঢেউয়ে কাঁপে নকশী আঁচল-
তোমারই তো নাকি! পোস্টারে বিজ্ঞাপনে,
তোমাকেই দেখি; প্রেমে কিংবা অপ্রেমে,
ভুল হলে সে আমারই দায়! তবু-
ভুলটাই লেখা থাকুক খাতায়!


স্বাধীনতা পেয়ে উচ্ছৃঙ্খল রেসের বাইকের-
মতো, দিয়েছিলাম কলমির ডগা ছেঁড়ে-
জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে লাফ; এখন সবই তো কয়লা-
চোখ-মুখ-পাখা, একসারি পা!  
তবে কি পতঙ্গ জন্ম ব্যর্থ হয়েছিল বলে,
হয়েছি মানুষ আজ?