তোমার শহর পুরানো হচ্ছে! আমার মতোই বয়স বাড়ছে,
সানগ্লাস চোখে নিহত প্রেমেরা, এখনো কেন দিচ্ছে পাহারা,
ফুটপাথে; বায়বীয় সকালে, ড্রাই আইসের মতো,
জমানো রাতে; আমিতো মমি হয়ে বাঁচি,
স্বর্গ ও নরকের মাঝামাঝি! কি হবে আমাকে রেখে-
চোখেচোখে? বিশ্বযুদ্ধের বাতিল এনফিল্ড বন্দুকে ভরালে-
টোটা, ফুটবেনা কোন গুলি! শোননি বলছে দার্শনিকের
নির্দেশিত অঙ্গুলি!
হয়তো ফুটতেও পারে! কেউ তো জানেনা আজো নিশ্চিত,
কে বা মৃত! আর কেই বা জীবিত!
গেঁয়োপথ থেকে রাজহাঁস পৌঁছেছে রাজসরোবরে;
তবুও চোখের কোণায় তাজা রোদে কি দুঃখ ঝলমল করে?
আমার মতোই সন্ন্যাস নিয়ে তবে কি সে-
কামনায় পুড়ে খায় গাড় বাদামী স্বাদ? অম্বলের ব্যাথাটা-
জাগবে জেনেও আমিও তো গোগ্রাসে গিলে খাই মশলার-
কাবাব! তবু নাছোড়বান্দা প্রেম ইঁদুরের মতো, তেড়েফুঁড়ে,
বের হয়ে আসে ফুটো করে সমাধির বন্ধ কফিন!  
অনেক উত্তাপ এই মিনারে, ছাদে, জমিনে, আসমানে,
আমিতো অবাধ্য অশ্ব মানিনা লাগামের টান সুপ্ত গহীনে,
তবুও গোঁয়ারের মতো একটা আশ্চর্য প্রেম দিচ্ছে পাহারা,
হয়তো আনমনে!  


গণভবনের পাশের গাছটা অর্জুন নাকি ইউক্যালিপটাস!
আমার মতো হ্যাংলা দাঁড়িয়ে বাকলে নিয়ে প্রেমের অসুখ,
তোমার কথা কি ভাবছে?
এক! দুই! তিন! এসে গেলো ট্রেন! প্রতিদিনই আসে,
হুট করে আসে, ডুবো চাঁদে ভাসে, কমলাপুরের ছাদ!  
শহরের বুক চিরে প্রতিদিনই আসে ভাঙ্গা বাসে ট্রেনে,
প্রেমের চালান, মানুষেরই মতো তারা তবুও মানুষ নয়!  
কেমন যেন উদ্ভট! উৎকট!
এ মাটিতে বাঁচেনা কি প্রেম, নিহত বৃক্ষের মতো?
বুড়ি হাতির ঝিল এইসব দেখে করে খিলখিল,
আরে একেক ফসলে লাগে একেকরকম মাটি,
বালু মাটি পেলে তবেই না জন্মাবে সুমিষ্ট তরমুজ খাঁটি!
এখানে পাখির মতো, মেঘের মতো , ঝরা পাতাদের মতো,
উড়ে যায় সব! রাস্তার পাথরে পাথরে গাঁথা শোক,
একদিন সমস্ত প্রেমিক ও প্রেমিকারা হয়ে যাবে নীরব,
হয়তো আসবে নতুন, পুনরায় ঝিলমিলি চোখ!
রমনার লেকে চঞ্চল যুবক, এখন নীরব হাতে সিগারেট,
তারই মতো মেয়েটি চুপচাপ গিলে নিল ঘুমের ঔষধ,
সবারই তো একই অসুখ!
আমিতো উড়াল ঘুড়ি কবেই ছিঁড়েছি দড়ি,
তাও কে যেন টানে অকারণে, হয়তো নিহত প্রেম!
পান্থপথ থেকে পায়রা চত্বর, আমাকেই দিচ্ছে পাহারা,
মুক্তি পাবোনা এতো সত্বর!