এক অসমাপ্ত বিচে এসে শেষ হলো দুজনের হাঁটা পথ,
বিধ্বস্ত কালে, পলাতক দিন আর ক্লান্ত রাত।
বালির দানার মাঝে ধিকিধিকি জ্বলছে কয়লার আলো,
মানুষের হাতে মরে পরে আছে কিছু ডলফিন কালো,
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ, খসে পড়া লেজ আর চোখ,
কেউ নেই আর! পরদিন মানুষেরাও নাকি গিয়েছে মরে,
জ্বলছে শ্বাসতন্ত্রের নালী, প্রিয়তমা শ্বাস নাও জোরে!    
পোড়া বালু মাখা ইতিউতি ছড়ানো হারানো মানুষের গন্ধ,
জমকালো পৃথিবী কেউ একজন হঠাত করে দিয়েছে বন্ধ!
দুনিয়ার হোটেলটা খুলবে আবার কবে? পুড়ছে চামড়া,
জ্বলে যায় চোখ! চাইনা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসী কামরা,
একটা কাঠের চৌকিও নয়, এনে দাও ছায়া মাখা ছাদ,
সামান্য চাহিদা মিটে যাবে তাতে! শুনতে পাচ্ছ কেউ?
একদল মানুষ এখনো নাচছে, কড়া তাপে উল্লম্ফিত ছায়া,
হয়তো মানুষ নয় শেষকালে কিছু লোক হয়েছিল পিশাচ,
সমুদ্রের অসম্পূর্ণ লোনা জলে নাচে তাদেরই আলেয়া,
শব্দও স্তব্ধ এখন, শ্মশানের শংখের মতো মৃতের নিনাদ,
বাজছে শুধু; একঘেয়ে বিরক্ত শোক!
দারুচিনির ঝাঁঝালো গন্ধের সাথে মেশা তোমার ঘ্রাণ আজো,
অচেনাই থেকে গেলো! ভাসাইনি পাহাড়ী নদীতে সাম্পান।
অসমাপ্ত বিচ ভরে আছে সিগালের শবে,
আমাদের সৌভাগ্য কিনে আনবে কে তবে!
অগণন কংকাল; ভাস্কর্যের মতো দাঁড়িয়ে বাতাসে তারা,
মানুষের শেষ সম্প্রদায় নাকি ছিল, তাই সমাধি পায়নি যারা!
পায়ের চাপে পাউডারের মতো চূর্ণ হচ্ছে লাল কাঁকড়ার দেহ,
তবে কি ধ্বংস হয়েই গিয়েছো তোমরা মানুষেরা?