একটা অদ্ভুত পিংপং বলের মতো উদ্ভট উল্লম্ফন,
ঘরের মেঝেতে পৃথিবীর দেয়ালে!
তোমাদের পিশাচসিদ্ধ শহরে কার যেনো কর্কশ হাসি,
বাজে প্রতিক্ষণ;
কে ছুঁড়ছে? কেই বা প্রচন্ড জোরে ফিরিয়ে দিচ্ছে এই-
প্রত্যাঘাত! আমিইতো পিংপং; চ্যাপ্টা হবো একদিন,
সেইদিন বিতাড়িত চরিত্রে হয়ে মুক্তি কি পাব?
প্রতিদিন রাতে অমবস্যার মতো মাথা করে টনটন!
শুধু জমে যাচ্ছে তীব্র আঘাত,
বুড়ো লালচান ফকিরের চুরমার হওয়া প্রশস্ত বুকে,
টান ঊঠা শ্বাসকষ্টের মতো!
বলতো সে- সমস্ত সুখ এই বনবাসে! অরণ্যে-
বিবাগী হও! চৈত্রের ফকির হলে অন্তর দেখ ভেসে যাবে,
কি রকম সুধা জলে!
তবু লালপেড়ে শাড়ির যুবতীরা কোমরের ভাজে,
অদৃশ্য নৃত্য লুকিয়ে রেখেছিল খাজে, চোখের পাতায়-
কাজলা ভ্রমর!
আমিও বলের মতো ছুটে গিয়েছি; মাতালের মতো-
তাদের পিছে পিছে! পার কৈশোর যৌবন, নুয়ে আছে-
মধ্যজীবন! নেশা কাটে নাই, চোখে লেগে আছে ঘোর,
তবু এখনো সুস্থির নই! একবার তার বুকে মাথা রাখি,
আরেকবার বাণপ্রস্থে পা রাখি! আকাশকে বুকে নিতে,
পাগলের মতো লাফ দেই উঠোনে!
নারী ভাবে এ কোন অবজ্ঞা? কি তার সংগা!
আসলে পিংপং বাড়ি খায় দেয়ালে দেয়ালে,
আমিই তো সেই সাদা ছোট বল; অকারণে লাফালাফি,
অথবা কারো অদৃশ্য পাগলামি; কিছুই নেই করার,
আহত আঘাতের সাথে বিনামূল্যে মিলে যায় প্রত্যাঘাত!
অদ্ভুত! দুদলেই মারে শুধু ভিন্ন নামে!
শব্দে চুরমার হাড়; সপাত! সপাত!
খেলোয়াড় পরিচিতি জানা ছিলো না কখনো,
পাইনা লিফলেট কোনদিন ও!
জানি শুধু নামিয়েছে কেঊ মাঠে, টেবিলের কাঠে,
লাফাচ্ছি এখনো সবকিছু ভুলে; লাফাতেই হবে নিশ্চিত,
দর্শকের আমোদ প্রচণ্ড অচেনা, বুনো,
প্রাচীন পুঁথির মতো অবোধ্য! জ্যন্ত শুধু বোধের আঘাত!
গড়িয়ে পড়ছি সুচারু বলের মতো মসৃণ, বুলেটের মতো
ধারালো বেগের ঝটকায়,
যতোক্ষণ আছে প্রাণ; কে যেন দিচ্ছে ছুঁড়ে,
বনেদী রাজপথে, গলির অন্ধ মুখ থেকে পচা জমা জলে!
একটা পিংপং বল নড়ে আগে পিছে অন্ধ আকাশ,
মুক্তি মৃত্যুতে; বীরত্বের লাফ দিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো,
লাভ নেই কোন!
ডাস্টবিনে পড়ে আছে চূর্ণ খুলির মতো সাদা সাদা মাথা,
নাকি মৃত পিংপং! ফেটে গিয়েছে সমস্ত রং!
জটায়ুর পাখা কেটে পড়ে স্তব্ধ বাতাসে; বীরত্ব মৃত!
কে মারে? নাকি খেলে আমোদে প্রমোদে কোন নিরাকার,
জানা নেই সেই খবরের হদিস আমার!