ভাবছি, তোমাকেই দিয়ে দিব,
প্রশান্ত মহাসাগরের নীল চাঁদ,
পলিনেশীয় দ্বীপে সূর্য্যঘড়ির প্রলম্বিত ছায়ার মতো,
কঙ্কালে নিয়ে ঠান্ডা আলো ঊঠে আসবে অন্ধকারের প্রাণ!
পাখনায় প্রবালের চূর্ণে রূপালী অস্তিত্বে হয়তো কষ্ট হবে,
মন তো পঙ্খীরাজের মতো!
উইন্ড মিলের চাকা কসরত করে টেনে আনে,
সঞ্চিত বিরহ যতো; ডোরাকাটা প্রবাল সাপেদের,
ঘুমাবে তারাও কুয়াশার চাঁদে, ক্ষয় হবে রক্তিম বিষ!    
যে চোখের আলো অদেখা বহুজীবনের চাকায় ধুলায়,  
তার ছায়াভেজা বালুর মতো আর্দ্রতা মেখে পার হবে,
সেইসব আলোকবর্ষীয় দীর্ঘতম রাত!
ভাবছি, তোমাকেই দিয়ে দিব অশান্ত স্রোতে চূর্ণ-বিচূর্ণ,
দ্রবীভুত সাগরিক চাঁদ, আঁজলায় তুলে তুমি নিও!


সেখানে এখানো নাকি নক্ষত্রের বৃষ্টি হয় অচেনা রাত্রিতে,
টুপটাপ ঝরে পড়ে ছোট খাটো শিলার মতো,
স্রোতের মাথায়! সবাই ঘুমালে অনেকে কুড়াতে যায়,
সেইসব জল, প্রবালের ফল, তারা মাখা বালু!
মানুষ বোবার মতো হাঁটে, শুধু হাঁটে! কেন হাঁটে?
তুমিও হাঁটতে যেও তন্দ্রাহীনা; সেই সমুদ্রে পূর্ণিমা বিলাসে!