সবার নাকি শিকড় গজায়, শিকড় গজায় অল্পতেই,
খানিকটা কাল নদীর ছায়ায়, দম ফেলানোর ফুসরতেই,
সোঁদা মাটির অন্ধকারে, শক্ত মূলেরা প্রশাখা ছড়ায়!


ঝুলে থাকা চুন খসা ছাদ, ভাঙ্গাচোরা চার দেয়ালে,
বেলাভূমির বালুর ঘর ভাঙ্গতেই পারে যখন তখন!
মরে যাওয়া রুক্ষ লালে, ইটেও শ্যাওলা শিকড় বাড়ায়,
লুপ্ত ঘরের খোলা জানালা, উপায় খোঁজে পথ হারানোর,
তেমন ঘরেও তোমার আমার হর-হামেশাই জন্মায় মূল!


অপরিচিতের অচেনা শহর মায়া বিলায় অজান্তেই,
ভালো লাগার বেশ কিছু ফার্ণ, দখল নিয়েছে প্রতিটি দেয়াল!
গ্রাফিতি নয় জীবন্ত পাতা ছড়ায় স্পোর সবখানেই।
অপছন্দের রাস্তা গুলোও যাবার সময় কান্না আনে,
কখন যেন আমার শিকড় পৌছে গ্যাছে তার গভীরে!
অনেক বছর পার করেছি ছাড়ব বলে যে আঙ্গিনা,
ছাড়ার সময় সেখানে দেখি, পথ ছাড়তে পা টানেনা!


ইট বিন্যাস ভেঙ্গে খানখান, দেয়ালে উপক্রান্ত ভাঙ্গন,
তবুও এখানে শিকড় ছড়ায় বুনোঘাস আর লতানো ফার্ন!
আমার তেমন অনেক শিকড় প্রোথিত হয়েছে এই শহরে!
আগেও হয়েছে বহু জন্মে এমন শিকড় তোমার আমার,
যতই ভাবি উড়াল দিব ভেঙ্গে ঘরের চার দেওয়াল,
উড়ার সময় শিকড় আমার, মনে দেয় ঝটকা টান!