আজকাল তুমি আর রাত জাগোনা,
রাহু কেতু গ্রাস করে নিলো সমস্ত আলো ভেবে,
নিস্তব্ধ বিছানায় ঘুমকে পাড়াও নাকি ঘুম?  
বাহিরে বৃষ্টির নেমেছে ধুম,
কামিনী ফুলের গন্ধে আপ্লুত জলঘড়ি,
নুয়ে নুয়ে পড়ে মায়াবিনী নদী;
তবুও ঘুমিয়ে তুমি, চোখের কোণায় রেখেছ কি-
বর্ষণক্লান্ত ভোর? আমিতো কিছু জমাতে পারিনা,
প্রেতাসক্ত রাতে অভিমান-শোক সবই পুড়াই-
ঘটা করে, আলুমিনিয়াম ফয়েলে জড়ানো,
গ্রীল করা মাংসের মতো! স্বুস্বাদু মোড়কে মোড়া-
মৃত প্রাণীদের কষ্ট! নিজেও পুড়ে যাই কতো!
বরফ লাগিয়ে রাখি পোড়া হাতে; পাবেনা টের,    
আজকাল তুমিতো আর জাগোনা রাতে!
মাঝে মাঝে সেলফোন অজান্তে বের করি,
অভ্যাসবশত বার্তা পাঠাও আবার যদি!
কিছু নেই শিশিরের জলে; নিয়ে নিলাম একটা-
নিজস্বী অন্ধকারের সাথে;তুমিতো ঘুমের ঘোরে,
আমি আজো ঘুরি রাত্রির রথে!
আমাকে ছাড়েনি সে নেশা, খেলছি তো পাশা,
যদিও সমস্ত প্রেম উবে যায় একা একা!
জীবন তো ভোজবাজি, ভালোবাসা নিশ্চিত-
প্রহেলিকা! তবুও জেগে থাকি,
ভুলে যদি রাত্রির পথে হয়ে যায় দেখা!
পার হচ্ছে বাংলা ইংরেজী হিব্রু আরো কত মাস,
রোয়ান্ডার অরণ্য থেকে প্রথম নগরে এসে,
প্রস্তর যুগের মানুষ ভেবেই পায়না সময়ের হিসাব!
টিকটিকির মতো কি হচ্ছে চুপিচুপি পার,
এইসব দিনরাত? শুধু রোড ডিভাইডারে অর্ধমৃত,
বৃক্ষরা কাতরায়! এখানে ভালোবাসার অভাব,
কুড়ে খায় আমাকে-তোমাকে,
পা দুটো সেই যে আটকালো পাঁকে,    
পার হয়ে বৈশালী, শ্রাবস্তী, মগধ, তবু বৃত্তের মতো,
লাটিমের মতো ঘুরছি তোমারই চারিপাশে!
আজকাল তুমি হয়তো ঘুমিয়ে পড় অনেক আগেই,
পাবেনা এথেনীয় নকশা কাটা মৃৎপাত্র বলে,
জমকালো মেলা ছেঁড়ে চলে গেলে!
এখন নিখুঁত অভিনয়ে স্বয়ং শেকসপিয়র ও-
পড়ে যান দ্বিধায়,
চরিত্র নাকি অভিনেত্রী কে বেশি মঞ্চ কাঁপায়!
আমিতো অশ্বত্থামা হয়ে আজো রাতেই জীবিত-
থাকি,
কুরুক্ষেত্রে এখনো যে অনেক হিসাব বাকি!