স্তম্ভিত আকাশের চোখে নাগরিক ব্যস্ত মন-  
রূপালী পাখির মতো নিঃসঙ্গ নীরবতা খোঁজে,  
শুন্য দিগন্ত ছুঁয়ে; চুপিসারে অতি!


বিক্ষুব্ধ সাগর হঠাৎ মেলে ধরে তার পাখা!
হাজার জীবন্ত ঢেউ ছুঁয়ে দিতে ছুটে আসে,
অনন্ত শুন্যতাকে; স্পর্শের সিক্ততায়।
বেলাভূমি ভাসানো স্রোতেরা ফেরে বারবার,
স্মৃতির বাগানে দিতে কেয়াবনের কাঁপন।  
পদচিহ্নের ছাপ চকের লিখার মতো মুছে দেয়-
মহীসোপানের জীবন্ত গর্জন।
টেনে নেয় আমাদের  সব স্মৃতি নীলের শরীরে,
শামুক-ঝিনুকময় রহস্যপাড়ায়।


সোনালী বিন্দু হয়ে ভেসে ঊঠে দ্বীপ!
চশমার ঘোলা কাঁচে দৃষ্টি সীমিত দিগন্ত রেখায়!      
অস্তমান রক্তসূর্যের নীচে তাকে মনে হয়-
আদিম সমুদ্র থেকে জন্ম নেওয়া প্রথম দেবতা!
দিকভোলা নৌকারা ভেসে যায় বেলায় অবেলায়,
ধ্রুবতারা টিকে করে নিয়ে সাথী।
নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে উড়ে আসা এক ঝাঁক পাখি-
ঢেউ তোলে অস্তিত্বে আমাদের!


এখানে অচেনা ঢেউয়ের তোড়ে যে আশার জাহাজ-
ভোলে তার পথ; অজানা সীমান্তে!
তুমি কি আমাকে ভাবো তেমন হারানো শঙ্খচিল,
একটি জীবন উড়ে বেলাভূমি পায় না যে খুঁজে!!  
নাকি বিস্মিত হও অনস্তত্বিতে দেখে অস্তিত্ব আমার!!