চেয়েছিলে বুঝি দিতে সিংহাসন, প্রচারিত নাম হবে অক্ষয়,
এই মহাবিশ্ব বৃদ্ধের মতো সাদা কেশে, ভাঙ্গা দাঁতে,
হচ্ছে যখন ক্ষয়! কিভাবে টেকাবো মুকুটের সিংহহৃদয়?
তার চেয়ে বরং গল্প জমাই, বসেছিল প্রাসাদের মোরগ,
লালঝুটি নেড়ে কক কক স্বরে বলেছিল ভেংগে ধ্যানযোগ,
‘যদি অনন্ত সুখ চাও বরং মাতাল হও,
অন্য কেউ নিক ভুলে শরীরে মণিমুক্তার সজ্জার রোগ!’  
এতো সব ভেবে এসে বসে দেখি নাস্তায়,
প্লেটের খিচুড়ির ফাঁকে কাঁকড়েরা নাচে তন্ময়! ডালের-
বদলে হলুদের রঙ লাগালো বিষম হইচই!  
বলল সাখীদার হেসে-‘কিনতে এসেছো সুখ এতো সস্তায়?’
মহলের নূপূর শুনি; বাতাসে সুস্বাদু পোলাওয়ের নির্যাস,
ওই যে মুখোশধারী ময়ূরাক্ষী মসনদে দোলাচ্ছে পা গুলি,
পকেটে সাপের মণি; কাকলিতে মুখরিত হেরেমের পর্দা,
সেও কি সন্ধ্যায় নিজেকে নিজেই করে বিশ্বাস?
আমি তো রাজত্ব ছেঁড়ে এখন হাভাতে, পকেট শূন্য মাঠ!
শুধু রাজকন্যারা দিনশেষে রাজাকেই পেতে চায় দেখে,
ভাবি স্বেচ্ছায় নিলাম নাকি অভিনয়ে ভুল পার্ট!  
রাতের খাবারে অন্যের চিবানো হাড় সাজিয়ে নিয়ে প্লেটে,
সাখীদার এসে যায় পুনরায়!
হেসে বলে-‘পেলে নাতো সুখ তুমি সস্তায়!’