যদি হঠাত শুন্য লাগে হৃদয়ে তোমার,
মন খারাপের বিষণ্ণতা ভর করে কখনো আবার!  
ঢেকে যায় শহরের রাস্তা, গোধূলির বিমর্ষতায়,
আচমকা বৃষ্টির মতো একপশলা শুন্যতা,
ভাবিয়ে তোলে তোমাকে আরো একবার।  
তখন সংকোচ ভুলে নেমে পড়ো রাস্তায়,
যেমন হেঁটেছিলে তুমি হারানো অতীতে;
খসে যাওয়া ডায়েরীর স্মৃতির পাতায়।


তুমি খুঁজে নিও সপ্তর্ষি মন্ডলের আলো;
জ্বলজ্বলে ভেজা চোখে ছড়ানো অলক রাশি-  
কম্পিত বাতাসে, মৃদু হাতে আলতো সরিয়ে।
খুঁজো অজানা নদীর স্রোতে আদিম তারার ছায়া,
চিরকাল যারা দিয়ে যায় অভয় আমাদের।  
মায়াবী চোখের কোলে ক্লান্তির কালি কাঁদে,
চোখের পানিতে আঁকা কাজলের রেখা যেন!
অবাক দৃষ্টিপাতে লুব্ধক ছাড়িয়ে;  
তোমার অব্যক্ত বোধ প্রকাশের পথ খোঁজে!  


যদি হঠাত শুন্য লাগে হৃদয়ে তোমার,
ভুলে সব অন্ধ রীতি; অস্বস্তির সামাজিক নীতি;
বেরিয়ে পড়ো রাস্তায় তুমি আরো একবার!
হাড় হিম ঠাণ্ডায় জমা এ কুয়াশার দেশে,  
যদি পেয়ে যাও প্রজাপতির নকশায় মাখা-
রঙিন ছাউনির কোন দুর্লভ রিকশা;  
ডেকে নিও তাকে, থামিয়ো সামান্য ইশারায়।  
এক ঝটকায় যেমন পালায় দুরন্ত শ্বাপদ;
উঠে পড়ো রিকশায় তুমি ক্ষিপ্র ভঙ্গিতে!  
দুরন্ত গতিতে ছুটে যেও চিরচেনা রাজপথে।


আশেপাশে পলাশের বন, ম্রিয়মাণ হয়ে যাবে তত দিনে!
তবুও সেখানে খুঁজে পাবে আনন্দের হারানো উল্লাস।
অশ্রুনয়না! জানি চোখের পানি, ভাসাবে মনের ভুলে,
তবুও আড়ালে রেখো তাকে; উদ্বায়ী বাষ্প করে নিমিষেই;
ভোরের প্রথম রোদে যেভাবে হারায় শিশির!

অথবা যদি চোখে পড়ে সূর্যমুখীর নুইয়ে পড়া বন,  
বহুদিন আগে সেখানে হাসতো অগণ্য সুর্যমুখীরা।  
যেখানে সুর্য স্বপ্নরথে আগুনের হলকা বেয়ে-
নামতো প্রতিদিন, হতোনা নিয়মের ব্যত্যয়।
শোনা যেত অ্যাপলোর বীনা; কান পাতলেই।
দাড়িয়ো কিছুক্ষন সুর্যমুখীর সেই বিষণ্ণ কবরে,
মন খারাপের দেশে হয়তো আরো মনখারাপ-
স্তূপাকারে জমা হবে!
তবুও কোথাও কিছু ভালোলাগা নিয়ে ফিরে যাবে বাড়ি!
তোমার স্বপ্নেই, সুর্যমুখীরা বারবার ফিরে পাবে জীবন!
জেনো শুকনো পলাশ লাল টুকটুকে হবে সেইদিন।