এসো রাস্তায়, রাতের অন্ধকার বকুলের গন্ধের মতো,
মাটিতে ছড়িয়ে আছে, ইতিউতি নয়,
মৃত লেকের জমানো লবণের মতো গভীর লেয়ারে!
কেটে যাবে পায়ের পাতা রক্তাক্ত বালুচরে, তবু এসো!  
কিছু অন্ধকার পর্দার মতো জড়িয়ে নিতে পারি আমরা,  
কেউ আর দেখতে পাবেনা, কারা হাসে! কথা বলে!
অর্থহীন শব্দ দিয়ে না হয় হোক এই শতকের অভিধান,
তুমি আর আমি, মধ্যরাতের বৃষ্টিতে মিশিয়ে এলার্ম,
লুকোচুরি খেলি এসো গুরুগম্ভীর সময়ের সাথে!  
সবাই ভাবছে! বৃষ্টিতে উত্থিত সদ্যোজাত চারারাও,
কাদা মাখা জল, ছেড়া পোস্টার, অন্ধগলি, মৃত গাছ,  
তারা ভাবছে তো ভাবছেই!  


টলমল চোখে বিষাদগ্রস্ত শহর নাকি অনেক কেঁদেছে,
মধ্যরাতের ডিনারে তারো মন ভেংগেছে কেউ,  
আমাদের মতো, চোখে তাই তার বর্ষার ঢেউ!
দুঃখের আস্বাদনে, দিনরাত শিহরণ, কাটছে বছর,  
গাড় অরণ্যের রাস্তার মতোন, অন্তরের অনেক গভীরে,
মধ্যরাতের এই বৃষ্টি খ্যাপাটে বাউলের মতো ডাকে,
ঘর ছাড়ো! ঘর ছাড়ো! তবু তুমি অব্রিশান্ত আকর্ষণ,
দুঃখবিলাসী আমি! চলে যাবো বলে কখনোই পারিনি!
কারা যেন উন্মাদ নাচছে তো নাচছেই ছিটে আসা জলে,
ভেজা ভেজা মুখে! কে বেশি মাতাল মেঘ না বাতাস?
যেই হোক দুজনেই সাড়া দেয় আমাদের শোকে!  
আকাশ তো মিশে যাচ্ছে শহরের রাস্তায়, অন্ধ ফুটপাথে,
আর কিছুক্ষণ; সব কিছু একীভূত হবে জল মাটি ইট,
নেমে এসো তুমি জলের নায়রী, আজ ভিজবই ঠিক!