তখন আকাশে ছিলো রাত্রির শেষ চাঁদটা,
গ্রীষ্মের প্রথম সকালে!
ছিড়ে যাওয়া রেক্সিন আকাশের মতো নীল,
জুড়ে আছে সমস্ত টেবিলে!
যেন তোমার আমার মাঝে একটা আকাশ,
নিয়ে তার সব কথা চুপ করে ছিলো বসে,
বিলাসী বিড়ালের ছলে গুঁটিয়ে লোমশ দেহ,
প্রথম বিস্ময়ের প্রতীক্ষায়!


আকাশে ছিলো না তারা, তখনো ভাসেনি-
সর্ষে খেতের হলুদ, আটলান্টিকের বাতাসে!
শুধু পশ্চিমের বারান্দা গিয়েছিলো ভেসে,
অযত্ন প্রয়াসে বোনা সূর্য্যমুখীর বনে ভাসা-
তাজা হলুদ আলোয়!


তাই দেখে কাঁচা হাতে আঁকানো ছবিতে,
হঠাত মশগুল হলে সামুদ্রিক তন্ময়তায়!
বললে আচমকাই মায়াবী হাসি মাখা ঠোটে,
ছবিটাতে আছে নাকি খানিকটা মিশ্রিত
ভ্যান গখের আদল!


সেই শুরু কথাদের পাখি হয়ে ডানা মেলা,
সেই মাঠ দালানের ফাঁক দিয়ে ভেসে চলা!
শান্ত শহরটার মেঘলা আকাশ,
এখনো লিখেছে রেখে স্টারী স্টারী বৃষ্টিতে,
আমাদের পরিযায়ী জীবনের ইতিহাস!