চলে এসো গা হিম করা ভয়,
এখনই তো সময় তোমার পাখা মেলবার!
গৃধিনীর রক্ত চোষা হাড় হিম করা চিৎকার,
আবার যাচ্ছে শোনা!
উত্তরের বারান্দায় হাতে নিয়ে কড়া কফি,
কিছুটা সময় হোক পার শুধু তার অপেক্ষায়।
টেলিভিশনের তরংগ স্তিমিত করে,
নেমে এসো ভয়, চুপি চুপি মুমূর্ষু শহরে!
জানি ঘুটি আর নেই আমার সঞ্চয়ে,
হবে রাজা বাজিমাৎ দাবার চালের ছলে।
শোন ভয়! এখন তো তোমারই সময়!
হালকা টয়ট্রেনের মতো গড়িয়ে গড়িয়ে,
ঢুকেই তো পড়েছ ঈশানের কোণে,
এইবার টোকা দাও থাইগ্লাসে ঢাকা বাতায়নে।
যেখানে খাটি কুমিরের চামড়ার কালো সোফায়,
এলিয়ে শুয়ে আছে আমাদের সঞ্চিত অন্যায়,
ঘুমন্ত বিবসনা সুন্দরী সাথে নিয়ে তার।
আচারের বোতলে জমা পঁচা ছত্রাকের মতো,
এখনই তোমার আঘাত হানার উপযুক্ত সময়!
চলে এসো ভয়! মজ্জা কাঁপানো ভয়!


জানি হয়তো আমিও স্তব্ধ হবো, নিঃশব্দ হবে,
প্রিয়া তোমার আঁচল,
তবু এক দৃড় নিয়মের অদৃশ্য এলার্ম,
দিচ্ছে ঘোষণা, মতিঝিলে ঘুরবে চিত্রা হরিণ,
নিউমার্কেটে বসবে বাজারে বানরের পাল।
হুহু করে যাচ্ছে ভেসে মানুষের দিনকাল,
মাকড়সার জালের মত সর্বত্র ছড়ানো ত্রাসে।
কেউ তো দেখেনি তাকে, তবু জানে আছে সে!
এসো ভয়, লুকিয়ে কি লাভ! নেমে পড়ো মাঠে,
বহুযুগ পর এসেছে তোমার সময়,
নিখুঁত ভাবে শুধু তোমার সময়, শিরশিরে ভয়।
মিলিয়ে চৌম্বক ঘড়িতে নিজস্ব সময়ের ক্ষণ,
বিলুপ্ত সাদা গন্ডারেরা দেখতে বসেছে,
অসহায় মানুষের আত্মসমর্পিত বিসর্জন!
চলে এসো ভয়, কর এই মঞ্চকে অন্ধকারময়,
আজ তোমারই সময়!