শীতলক্ষা নদীর তীরে
ছোট্ট অামার ঘর
উজান ভাটা সারাবেলা
করে ছল ছল।
সাত সকালে দাঁড়িয়ে থাকি
নিত্যদিনি তীরে
শীতলক্ষা নদীর কুলে
থাকতাম আমি বসে।
বাল্যবেলা থেকে এতটা বছর ধরে
কেটেছে আমার যৌবন কৈশোর
শীতলক্ষারই তীরে
বেশ ভালই কেটেছিল
হঠাৎ কেন শীতলক্ষা পাল্টে এত গেল।
শীতলক্ষা নদীর এখন
নাই যে দয়া মায়া
মারছে এখন মানুষ কত
জলে ডুবাইয়া।
শীতলক্ষা নদীরে তুই
আর কতকাল এমন করে
করবি খালি বুক
তোর পানি যে বড়ই নিঠুর
নাই যে দয়ামায়া।
তোর পাড়েতে ছোট্ট কুঁড়েঘর
তোরে নিয়ে ভাবতে গেলে
মনে লাগে ভয়
কখন যে তুই নিবি কেঁড়ে
আমার ছোট্ট ঘর।
শীতলক্ষা নদী তুই
একটু থেমে যা
হাহাজারি আর্থনাত
তুই কি শুনিস না।
উজান ভাটা তোর নদীতে
নিলি ভাসাইয়া
কত যে লাশ হইলো বিলীন
পাইলো না আজো খুজিয়া।
শীতলক্ষা নদী তুই
একটু ফিরে দেখ
বহতা নদী জানি আমি
তবু একটু ফিরে দেখ।
লাশে লাশে হয়তো
কোন এককালে
তোরই বুকে জাগবে নদীর চর
অগনীত লাশ তোরই বুকে
আর কত নিবি আর কতকাল।
আমার ভয় জাগে
ছোট্ট কুড়েঘরে
কখন যে কি হয়
নিবি কি মোরে
তোর বহতা নদীর স্রোতে।