সারাটা আকাশ জুড়ে ইতিহাসের দুর্গন্ধ,
                      মাথার ভূগোলে শুধু পাঁক।
শরীর রসে নিমজ্জিত আটপৌরে একক রাত,
সবুজ সুধা বৃন্তে প্রখর ঘৃণা, লালা রসে জিঘাংসা।


বুদ্ধদেবকে লুকিয়ে সকালের রক্তস্নান সারছে
                                   নবর্ষি অশোক।  
টিলার উপর থেকে তক্ষশিলা
ঘুম ভেঙে চোরা চোখে দেখে নিচ্ছে
                  আড়মোড়া দেওয়ার ভঙ্গিতে।
দুর্ধর্ষ দুরভিসন্ধি ফিরে আসছে উত্সস্থলে,
                  সলজ্জ বিনয়ী মুখে।


আঙুলের স্পর্শে ভালোবাসার গভীরতা মাপতে মাপতে
চুঁঁইয়ে পড়ছে কিছু অবান্তর প্রশ্ন -
পাখির ঠোঁঁটের মত তীক্ষ্ণ, কবিতার মতো সুনির্দিষ্ট।
সকালের রোদ-ভেজা বেড়াল
      পড়শির চৌকাঠ পেরিয়ে ঢুকলে
আবার আকাশ মাটি একাকার হয়ে উঠবে।
নামাবলী গায়ে নব্যাশোক ধর্মের ধ্বজা উড়িয়ে
                  দিগ্বিজয়ের ক্ষুন্নিবৃত্তি করবে।
কিছু সজীব পাথর গড়িয়ে পড়বে পদতলে।
আবার ফিরে আসবে প্রস্তর যুগ।
টিলার উপর থেকে, মাটির গভীর থেকে,
সমুদ্র সৈকত থেকে, আকাশ থেকে
দলে দলে নেমে আসবে অশরীরী ইচ্ছারা।


আমাকে তোমার শরীরে কয়েক জন্ম স্থান দাও
ঘৃণা সরিয়ে, জিঘাংসা সরিয়ে, দুর্গন্ধ সরিয়ে।
তোমার বুকে অভিমান ভরা
                          কবিতা হয়ে উঠব আমি।