কতদিন ধরে, এক আকাশ মেঘ জমিয়ে রেখেছিলে,
      হয়তো নিজেও জানতে না কবে,শেষ
         কোন শোকে, কোন বিচ্ছেদে বুক
        চাপড় দিয়ে, অঝোরে কেঁদেছিলে!


তাই সব জঞ্জাল একসাথে, সব জট খুলে,
দুমড়ে- মুচড়ে দাওয়ার অনুরোধ করলেই; মুখ    
    আষাঢ়ের কালো হয়, অসম্ভব বিদ্রূপে
            অনুরোধ নাকচ করে বললে-


"কি আশ্চর্য, তিনকালের পর, ঐ বোকা বোকা
        কাজ, আমার দাঁড়া কি করে হয়!"
নাছোড়বান্দা আমি- খুঁজে পেয়েছিলাম যন্ত্রণা,
            সমস্যা দূর করার চাবিকাঠি !


            সময় নষ্ট না করে বলি-
          "একবার মেনেই দেখো,কথা।
                 যদি না পারো-
                  'চিরস্তব্ধ দিব্যি!' "


যাক শেষে, নিস্তব্ধতার খোঁজে কথা শোনা হল-
    মনে থাকা পুঞ্জীভূত কত শত বছরের
    মান, অভিমান, চাওয়া, হারানো- একের
           পর এক বেরিয়ে এলো!


শহর, গ্রাম, রাস্তা, মাঠ ভিজে বন্যা এলো-
   একটি বুকে, এতটা- কি করে, ছিল !
     শেষে যত্ন করে, সাজালাম পাতা
    উল্টে,ছন্দোবদ্ধ, লিপিবদ্ধ করে!


জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আমি, লাল শাড়ীতে সেজেছি,
অপেক্ষা দুপরের -একটা বকুল গাছের পাতা
     রোজ, আমার শরীর স্পর্শ করে
         দিয়ে যায়, আলতো করে!


ওরাও মনে হয়, আকাশের লেখা আমার মতো
      ভালোবাসে- "ও হো - বলা হয় নি
          বুঝি, আমি কে! সবাই আমাকে
           'আকাশের কবিতা' নামে জানে!