প্রতি দেওয়ালে ঘুরে , বধুয়ার হয়েছে সব দেখা,
সবুজ, নীল, লাল, কালিতে, শহরের আকাশ ঢাকা!
      সব কিছু বোঝার দায়িত্বে দিদি, বাবা;
     সহ্য করে, তাই আজ বধুয়া কালা বোবা!


নকল বুদ্ধি, বিদ্যা, নাম, ছবি, বয়স, ঠিকানা-
আসল একা একমাত্র- আধার কার্ডের প্লাস্টিক জামানা!
হারানো প্রেমিক, বন্ধু, মা বাবা,  সম্পর্কের শোকে;
পাগল সে- যে খোঁজে না কাউকে ফেসবুকে!


   ও দেখে যাচ্ছে, উঠোন ভেঙ্গে উঠছে পাঁচিল;
   ঘুমের জন্য, কম বেশী সবাই নিচ্ছে পিল!
     বধুয়া রোজ শব্দ করে হাসে, খুব জোড়ে -
   এখন ওকে, পাগলামির জন্য সমাজ ভয় করে!


বধুয়ার মনে, কি আছে এমন খুশির জোয়ার?
কেমন করে অতীত, বর্তমান, করেছে সহজে পারাপার?
মনে আছে নাম তার স্পষ্ট , ভুলেছে উপাধি-
  ও জানে, শেষে সবাই হচ্ছে একটি সমাধি!


  কবর, ছাই, ইচ্ছে যেমন, তেমন করো শেষ -
মন্দির, মসজিদ দুই জায়গায় ওর আছে রেশ!
      শেষে যেও ওর লাশ নিয়ে, ঐ কোণে-
বধুয়া প্রেমিকার জন্য রোজ, ফুল রাখতো যেখানে!