সংলাপেই তো মঞ্চের বাইরে আলাপ,
ঐ যে নাটকের নাম ছিল 'বসন্ত বিলাপ'! তোমার,আমার দাদার চটির ছিল একই মাপ।


সেবার নাটকে চটি হারালে,
তারপর বেগতিক মুখ তুলে তাকালে-
নবমীর ভিড়ে কে বা তোমার,
সেই মুখের করুন দৃষ্টি দেখে!
কিন্তু জানো আমি কেন জানি,
সবসময়ের মতো নিস্তব্ধতাকে তোমার বুঝি,
চোখের চাহনিতে, না বলা কথা খুঁজি।


দৌড়ে গিয়ে চটি দাদার নিয়ে আসি,
কাছে গিয়ে তোমাকে ছুঁয়ে বলি-
"আমায় জিজ্ঞাসা করো না, কি বা কেন, এইটি দিলাম, নোংরা যে আমাদের পাড়ার গলি!


ঐ দিনটি এখনো তোলা আছে,
আমার স্মৃতির বাক্সে-
আর সব গেছে ভেসে !
চিত্রকল্প শরতের প্রেক্ষাপটে,
যেমন তোমার চোখে গোধূলি সাজে।
আমার মনের গোপনে সেই ছোট্ট,
খুঁটিয়ে নেওয়া মুহূর্ত, আবেগে নাচে।


শুনেছি ভূমিকা বদলে তুমি,
হয়েছো প্রচুর নামি, দামী!
শুনেছি আছে অনেক প্রতিপত্তি।


তা আছে কি এখনো, তোমার জুতোর বাক্সে
আমার দেওয়া ঐ দাদার সাধের চটি?
আগামী সেদিন দিয়েছিল ফাঁকি,
হঠাৎ কেমন যেন বদলে গেলে তুমি।
হয়তো এখন শুনে বলবে,
সব আমি বাড়িয়ে বলছি!


না গো, না সেই চটির দুঃখে বিহ্বল,
দাদা জানায়- আমাকে পাঠাচ্ছে
দূরে পড়তে, তোমাতে আমাতে,
ব্যবধান তাই হয়েছিল-
সাত সমুদ্র আর তেরো নদী।


তারপর তুমি আর আমি তেরোটা নবমী;
  পার করে পৌঁছে গেছি নিজের অজান্তে,
গতানুগতিক জীবনের শেষ সীমান্তে-
এখন জীবন শুধুই গোধূলি, বাকি সব বেনামী!