খেটে সাধ করে আঘাত নিয়েছে একটি মেয়ে,
নাম না জানলে ,এমন কি বয়ে গেছে ?
কত কি এমন, রোজ তো হচ্ছে-
পথেঘাটে, মাঠে, খাটে- কত কি পুড়ে যাচ্ছে!
চিৎকার নিস্তব্ধতায় ভেসে আসে,
যদিও কম- তাই তো আনন্দ, নেওয়া যায় একটু স্বস্তির দম।
গাঁদা গুচ্ছের সংবাদ, টিভির পর্দা, কালো, রঙিন খবরের কাগজে সুড়সুড়ি, সভ্য সমাজের কপালের টিপ সব-
ঘুম হচ্ছে না কারো কম!


শুনলাম একটা কাঠামো বানানো আছে,
কম্পিউটারে ''নির্যাতিত নারী" নামে -
ঐ ফাইলে সেভ আছে।
বেশ নামডাক থাকা লেখক দিয়ে বানানো আছে,
শুধু সময়, অসময়ে নাম, স্থান বদলে বসিয়ে মচমচে বিক্রি হবে।


সকাল, সকাল চায়ের টেবিল, দুপুরে আকাশ ছোঁয়া বন্ধ কাঁচের ঘরে একটু সমাজচেতনার গল্প হবে।
সন্ধ্যার পরে যখন রাত আসবো, আসবো করবে, একের পর এক নখ বেরিয়ে আসবে।


সারাদিনের অসফলতা, জড়তা, গালমন্দ, নিরাশাগুলো মুখের থেকে ভদ্র মানুষের মুখোশ তুলে নেবে।
সারাদিন যা ধিকিধিকি করছিল ভেতরে, রাতের অন্ধকারে বাইরের জগতকে নরক বানিয়ে তুলবে।

আচ্ছা বলে রাখা ভালো, অবলা কেউ না- পৃথিবীতে দুটো জাতি, ধর্ম, বর্ণ আছে-
একদল যে শাসন করে, একদল
শাসিত হবে।
তাই মেনে নিয়েছে যারা শোষিত হতে;
তারা বলে একটু আপস, মেকি হতে
কি আর এমন সম্মান যাবে;
কালশিট, দু চারটে ঘা বা দাগ;
তা আর এমন কি?
যে দিয়েছে তার টাকা দিয়ে,
বা বেসরকারী ঋণ করে,
কৃত্রিম ভাবে ঠিক করা যাবে।
এতোটা ভাবলে চলে?
মানিয়ে না নিলে, দেশকে মহান সংস্কৃতি বানাবো কি করে?
দেশ যদিও মাতা, তবুও দুটো তিনটে মেয়ের ভ্রূণ নষ্ট না করলে, মাতাকে বাঁচানোর রত্ন কি করে আসবে?


বুঝতে হয়- অবুঝ হলেও ভালো,
এমনি বোঝা কি কম আছে,
আরো বুদ্ধির বোঝা টানতে হবে !
বেশী বুঝে গেলে, আবার ভগবান সাজতে হবে- আবার ইচ্ছে করলে কলঙ্কিত ডাইনীর খেতাব খুব
সহজেই পাওয়া যাবে।


চুপ বেশী বলা, পাপ-
ঐ যে উপরে যে আছেন,তার লাঠিতে বিচার হবেই।
বেশী কিছু না হলে, মাটির ভেতরে বা ভীড়ের মধ্যে নগ্ন হলে,
কিছু একটা ব্যবস্থা হয়েই যাবে।


আর তাই, বিশ্বাস না হারিয়ে, সাতটি দিনে জনগনের মঙ্গলাকাঙ্ক্ষায় চার পাঁচটি উপোষ করাই যাবে।
শুনেছি না খেয়ে, পাথর, তাবিজ, ফুক মন্ত্রে সমস্ত যন্ত্রণার নিঃশেষ হবে।


হায় রে - কি জানি, আর কতদিন সময় লাগবে,
মানুষকে মানুষ হতে!
বা চারপাশকে নিজের মনে করতে।
ইচ্ছা ডানা কেটে আর কতদিন উড়তে পারা যাবে-
এবার স্বপ্ন বিক্রি করে, সব অনুশোচনা, চেতনার পারে চলো- সুখী হবে!