স্মৃতি, মনে জলছাপ এঁকে যায়-
সেই তোমার সাথে লুকোচুরি,কানামাছি খেলায়;
মনে পড়ে  ছিলে আমার পাশে,
বাঁধা ছিল চোখ, কালো রুমালে।


কিন্তু শরীরের সেই মিষ্টি গন্ধ,
পাশে থাকার আবেশ-
নিমিষে চিনে নিতাম তোমায়,
বন্ধ চোখে!
জানি ধরা দিতে তুমি অনায়াসে;
সবাই ছেড়ে চলে যেত দূরে-
তুমি চলতে পাশ ঘেঁষে!


ঘড়ির কাঁটা, দমভরে গেল চলে-
হাত মিলিয়ে চললে তুমি উন্নতির পথে,
তীব্র গতিতে।
চাইলে না পিছন ফিরে-
অন্ধবিশ্বাসে, স্পর্শের খোঁজে দাঁড়িয়ে
ছিলাম ঐ পথে।
যে পথ আবেগকে দ'লে যেতে দেখেছে!


এক দুপুরে- এলে তুমি,
সূর্যের সাত ঘোড়ার রথে চেপে!
একছুটে সাদা সিঁথি লাল করার আশায়,
দৌড়ে গেলাম,
তোমার ঘরে- বারান্দা পেরিয়ে।
ভর্তি ছিল ছোটবেলার স্মৃতি,
ঘরটির আনাচে কানাচে!


কিন্তু, চোখে সর্ষে ফুল-
অন্য কারো সাদা আঙুল স্পর্শ করে,
বসেছিলে বিছানাতে।
বিছানার উপর তখন আমার কালো আঙুলের আঁকা,
তোমার পছন্দের বকুল ফুলের চাদর,
পাতা ছিল তুমি আসবে বলে!
  
সামনে যেতেই-
অপ্সরার মত প্রেমিকাকে পরিচয় দিলে-
"আমার পাগলী বান্ধবী!"


আমার অধিকার,মান- চাওয়া, পাওয়ার, শেষ ঠিকানায় ছিলে তুমি-
এতো সহজেই, হলাম সেদিন শুধুই সহচরী।
কালরাত্রিতে স্বপ্নের ছাইতে হলাম,
নিঃসম্বল কাঙালিনী!


হয়েছি আজ, অন্য কারো গৃহিণী;
কিন্তু ঈশ্বরের কাছে যখনি প্রণাম করি;
মনে তোমার জন্য সন্ধ্যা প্রদীপ রোজ জ্বালি।


আমাদের কাহিনী,
এখনো রয়ে গেলো বাকি-
আমি হয়ে রইলাম,
উন্মাদ, পাগলিনী!
শুধু তোমার  'অধরা মাধুরী'।
===============================