রোজ রোজ কত শত, লাল,
       নীল প্রশংসার গন্ধরাজ
                 বা বিলাতি রোজ!
কিন্তু সেদিন গিয়ে দেখি,
     চারপাশে শুধু পড়ে আছে
        একাকী সুখী আত্মার খোঁজ!


সারা জীবন, স্বজন পোষণ,
    এ আমার নাতি, এ
            আমার জন আপন!
সেদিন দেখি আছে পড়ে ,
   সাদা স্পন্দন হারানো শরীরের পাশে-
       সাজিয়ে রেখেছে কাঠ,মাটি ভীড়ে!


ও হো সব স্বপ্ন ছিল-
     ঘুম থেকে ওঠার পরেই,
    ভাগ্যিস মুঠোফোন হাতে এল!
   ফাই, ফাই করে লিখে  
     দিলাম যা মাথায় ধরলো।
     মাথায় যে বিজ্ঞ বুদ্ধি, খেলে!


বাম, ডান, ফকির, উপন্যাস,
    ঠাকুর, নবিস সব চেটে নিয়েছি;
জানি কবি উপাধি, এমনি নাকচ করেছি।
মনে, মনে মুচকি হাসি-
আহাঃ বইয়ের জ্ঞানে নিজেকে
বিদ্যান, প্রচুর আগে ঘোষণা করেছি।


দুপর হলো, বাস্তব দুবেলার খিদেতে
এলো, "বাবু দুটো দিবি খেতে,
বলে, ট্রাফিকে কেউ এলো ডাকতে!"
পকেটে কিছু খচখচ করে,
না ভেবে টাকা দুটো বেরিয়ে আসে- বাচ্চাটির হাত পাতা দেখে, মনে ভ্রমর  উড়ে ঘিরে!


যেতেই দেখি বিড়ি নিয়ে দূরে,
বাচ্চাটি সুখটান দিলো, একটু সরে!
দোকানদার বলে -"ওটা জগা, ভিক্ষা নেশার জন্য করে।  জানে তো বাবুরা টাকা দিয়ে, অসামান্য দয়ার সাগর হয়ে
বুক ফুলিয়ে,ভদ্রলোক সেজে হাঁটে।"


এবার ভাবি, এমনি যদি হয়,
কি আর করা যাবে?
একরাশ ঘৃণ্য শব্দ ছুড়ে, ভস্মতে ঘি ঢালা যাবে- আবার সন্ধ্যার পরে আসে রাত্রি;
শরীর, মন নিথর হয়ে হবে সাথী।
চিতা, মাটি খুঁড়ে অকাতরে বের হবে সত্যি!