=====================
খোলা চোখের পাতায় একটি স্বপ্ন ছিল!
জড়িয়ে ধরবো প্রেমকে, বড় সাধ ছিল।


একটু যখন প্রেমকে বুঝেছি, মিষ্টি করে সাজিয়েছিলাম, একটু উষ্ণ হৃদয় নিয়ে আসা নরম মানুষের মত, মানুষের সাথে ভালোবাসার, স্বপ্নে নিয়ে- লাল, নীল পৃথিবী !


সেই ছোট্টবেলার উড়ন্ত মনে ছিল, দিগন্তপ্রসারী ছবি-যা মেঘেদের দেখে আঁকি!
ঐ যে মেঘের বুকে ছিল,
একটি পুরুষের প্রতিবিম্ব যেন-
ছোট্ট বাচ্চাকে কোলে রেখেছে,
প্রথম দেখি।
বাচ্চার মায়ের কপালে চুম্বন এঁকে বলে, "ভালোবাসার অংশকে, জন্ম দাওয়ার জন্য, চির কৃতজ্ঞ তোমার কাছে, আমি।"


সেই পুরুষ মেঘের পাশে,
সূর্যাস্তের লালিমাকে জড়িয়ে,
মেঘকে আলতো করে- বাচ্চাকে মাতৃত্বের স্পর্শে, আদর করে বলতে শুনি-
"আজ যে মা হতে পেরে- সুখি;
সম্পূর্ণা- তা তো তোমার জন্যেই হয়েছি ।"


কি জানি-
অল্প- অল্প করে, যখন বড় হয়ে উঠি!
সবাই বলে-
যৌবনের ফুল ফুটে ছিল।
আমার চোখদুটো ছিল দিঘি!  


তারপর....
আমার ভালোবাসার মানুষগুলো আস্তে, আস্তে হয়ে যায় আবছা জলছবি।
কেমন করে, হারিয়ে যায় বসন্ত-
জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখি!


আজ ঐ বসন্তের অন্ত হওয়ার,
এক যুগের চেয়ে, হয়েছে বেশী।
কালের যন্ত্রে, আজ মন্ত্রী!
জীবনকে জীবকা ভেবে, হয়েছি যথেষ্ট-
শুধুই ধনে, মানে, যশগাঁথাতে-
নামি!
বুকে বিঁধে আছে; চাপা ক্ষোভ,বেঁচে থাকার যন্ত্রণা বেনামী।


সব আছে- যা থাকলে, সবাই রাজা বা রাণী বলবে-
চারদিকে দমবন্ধ শ্যামলা পাহাড়
আর অন্ধকার চোখের গলি-
সোনালী রোদ্দুর রেলিং এখন, শুধুই
স্বপ্নের ছবি!


ভালোবাসার উষ্ণতা,
তাই ঐ মেঘের দেশেই...
রোজ নিজের মত খুঁজে চলেছি।
যদি বলি -
আমি এখনও কিন্তু, ঐ সংসার গড়ার অপেক্ষা করে আছি!
বৃষ্টি পড়বে... কি!  
না পড়লেই স্বপ্ন গাঁথা নিয়ে, বাস্তব হবে মেঘেদের গলি.......
======================