প্রেম দেখলো- নিজেকে একটি ছবিতে,
   কাঁচের জানালায় কান পেতে।
আঠারো মাস, বছর তার বেশী-          দীর্ঘকায় স্বপ্নের মেয়াদ শেষ হলো;
শিকড়ে লেগে আছে, কিছু-  
    শরীরের অলিগলি, অগছালো!


শুয়ে আছে মূল- বিস্তারে সীমান্ত,
কোথায় শুরু বা কোথায় তার অন্ত!
বিহ্বল অপেক্ষারা আছে- এখনো কান পেতে;
  অবিশ্বাস্য ভাবে- মনের কথা আঁচড়ে পড়েছে জানালার কাঠের গুড়িতে।


হারিয়ে গেছে দূর থেকে দূরে-
  অস্তিত্ব ও মুখোশের নির্যাস।
ফুল-পাতা, খোঁড়া পায়ের ওপরে,    
  সঞ্চার করেছে ঔদাস্য আকাশ!
গোষ্ঠির সংকেত দেখে- লেখে প্রান্তিক কবি;
কথার বার্ধক্যের ভাঁজে, কালো-সাদা দিয়ে আঁকে ছবি!


শাশ্বত সম্পর্কের টানপোড়েন- স্বল্পায়ু সুখ-
শিমুলের তুলোতে জীবনকাঠির বীজ- মানবিক বিকারে, ভারি হতে দেবে না মুখ!
বসন্তের ছোঁয়া লাগা- মন হতে চায় সোহাগি;
সুরেলা শব্দের জোয়ারে, অন্ধকার গলির স্তব্ধতার রূপ আবেগি!
=======================