কাঠগোলার পাশে একটি ভাঙ্গা, নড়বড়ে প্রাচীর
তার পাশ ঘেঁষে, একটি বটের শাখায় পাখির নীড়।
একরাতের শেষে, আর্তনাদ শুরু পাখির-
রাত জেগে দেখেছিলি এমন কি নজির ?
সে যে দেখেছিল, কাতরাতে যন্ত্রণায় একটি শরীর!


প্রাচীর হাসে- বটের দিকে তাকিয়ে,
যার পাতাগুলো, মিষ্টি মধুর আবেগ মুখে মেখে
হাসে-
"ও পাখি এবার রোজ দেখবি,এমনটি হতেই থাকে,
কিছুদিন পরেই গা সয়া হয়ে যাবে।"


কত শরীরকে এমন করে রাত্রি গিলে,
আর প্রাচীরের অন্য পারে, আরো কত শরীর,
প্রতিটি শ্বাসের মধ্যে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে!


তাও ভালো, যে কাতরাচ্ছিল শব হলো,
দু পায়ে চলা হায়না, শকুনের কবল থেকে যে
সে মুক্তি পেল-
জীবন্ত লাশ হয়ে, এখনো এমন অনেক আছে
যারা বেঁচে আছে; প্রতি মুহূর্তে মরে, মরে।


পাখি বলে, আমার আকাশ ভালো,
ঝড়, বাদলের থাবা ভালো,
তোমাদের মাটিতে এসব কেন হলো?


প্রাচীর, বট এবার চিন্তামগ্ন হয়ে বলে-
কি জানি, কখনো ভাবিনি এমন করে
কি করে বলবো!
সব কিছু দেখে, শুনে বলা মানা; বলতে ভুলে গেছি হয়তো।
যেমন চলছে, তেমন চলাই স্বাভাবিক যাত্রা-
মনে হচ্ছে, হয়েছে, আগামীতেও হবে-
কারো কি বা আসে, যাবে?
চিরকাল কেউ ধ্বংসবশেষ প্রাচীর আর
ইচ্ছা মৃত বট বৃক্ষমাত্র হয়ে থাকবে!


সব শুনে, জেনে, বুঝে পাখি নীড় বাঁধতে ভুলে গেলো-
আজও পাখি উড়ে দূর আকাশের নীলে;
মাঝে, মাঝে মুখ নিচু করে, প্রবঞ্চনায় মরীচিকা নিয়ে,স্বপ্নাবিষ্ট মানুষ আর মাটি দেখে!
=================================