“ যখন একাকিত্ব গ্রাস করে আমাকে তখন ভীষন মন খারাপ হয়, আমি সাবওয়ে বসে চেয়ে থাকি অপলক।
ঠিক তেমনই একদিন কাকতালিয়ভাবে প্রিয় বন্ধুর লিখা পেলাম, মন ভাল করার ঔষধ।সেদিন ছিলো আমার জন্মদিন।”


দুরবর্তী অনুভুতি বন্ধুর জন্য
ওয়াহিদুজ্জামান বকুল


একবুক অভিমান নিয়ে সরে আছিস দূরে, হয়তো বিষন্নতা নিয়ে বসে আছিস কোন পার্ক বা সাবওয়ে,


যোজন যোজন দুরে থেকেও তা হ্নদয় দিয়ে অনুভব করি, কারন তুই আমার বন্ধু।


কাউকে খুঁজে না পেয়ে বন্ধুদের দিকে অভিমানের তীর তীব্রবেগে ধেয়ে আসবে যেমন সত্যি, তেমনি অনিবার্য।


অভিমানি নোনাজল আমার গায়ে ঢেলে দিলি, এটাই আমার বন্ধুত্বের অর্জন।


আমি অভিমান করে তোকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে দুনিয়া কাঁপাবো, কারন তুই আমার বন্ধু।


এই মূহুর্তে তোকে  জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে, তুই যখন কেঁদে উঠবি,


আমিও হাসতে হাসতে কান্না করবো।


তুই সমুদ্রের কোল ঘেঁষে দৌড়াতে থাকবি, আমি তোকে মারার জন্য পিছন পিছন দৌড়াতে থাকবো,


ছুঁতে পারলে না ছোঁয়ার অভিনয় করবো, কারন আজ তোকে জিতাতেই হবে।


তারপর, ক্লান্ত অবসন্ন আমরা হাঁপাতে হাঁপাতে সমুদ্রের বালুকনায় এলিয়ে দিবো ভালোবাসার শরীর,


সূর্য্যাস্ত, কালো নিমেষ অন্ধকারে একসাথে হাত ধরে ফিরবো ডেরায়,


আঁধারে কেউ কারো ভালোবাসার চোখের নোনাজল দেখবো না,


শুধু অনুভব করবো ভালোবাসার।