অনুশোচনার পিরামিডে গড়া সুলতানি প্রাসাদ
রাতভর ঝাড়বাতির ঝলমলে আলো
রাত্রি পাহারায়।
নিক্কণ কানে বাজলে ঘুম ভাঙেঃ
জমে ওঠে নিভৃতচারীর সাথে
মার্বেল পাথরের ফাঁক গলে আলাপচারিতা।


অতীতের ব্যাপ্তীছেদে মানব-মানবীর ফসিল
ফিসফাস কানে আসে।
সুসভ্য মশৃন গ্লাসের টুনটান শব্দ
হৃৎপিণ্ডের আগাছায় অজান্তে বেড়ে ওঠা শেওলার ক্রন্দন
যেন মৃতনদে জেগে ওঠা চরে লতাগুল্ম-বনানী-কাশবন।


একদা ওখানে ধ্রুপদীর চাষ হতো
লক্ষ্ণৌর বনেদী চারা
সীমাবদ্ধতায় ছিল অপাঙ্খক্তেয় কবিতা।
স্বর্ণালী কৌটা ভর্তি আফগানি আফিমঃ আর-
মৃগনাভী কস্তুরির ঘ্রাণে বিমোহিত নরনারী।


বিরাণ প্রান্তর ভেবে বিশ্রামের অমর্যাদায়
এখন বধির হয়ে পথ চলে পথিক। শুধু-
আশ্বাদে অস্থির কিছু কলম সৈনিক এবং-
যাযাবর মাকড়শা,চামচিকে, ঘর বাঁধতে না জানা
কিছু চড়ুই,লেজকাটা টিকটিকি-
সাক্ষ্য সংরক্ষণে টিকে আছে।