সময়ের বিবর্তনে স্বপ্নেরা বিবর্ণ হয়
খসেপড়ে সোনালি পাপড়ি-
পতনোন্মুখ ধুসর সকাল ।
যেমন পালক না উঠা বকের ছানা-
কদিন পরেই শুভ্র ডানায় ভর করে
নীলাকাশ দেখার স্বপ্ন দেখে ।হঠাৎ
কোত্থেকে আসে অবাঞ্চিত ঝড়-
তছনছ হয়ে যায় সবকিছু।
ভেঙ্গে পড়ে বাসা, খসে পড়ে বকের সদ্য ফোটা ছানাগুলো।
সেদিন কাকেদের পোয়াবারো হয় ।


সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে স্বপ্ন বিবর্ণ হয়
দুপাতা মেলার আগেই ঝরে যায় বাগানের ফুলঃ
স্বপ্নেরা বড় নিষ্ঠুর-নির্দয় ।


খেলাচ্ছলে কতইনা অভিপ্রায় জাগে । যেমন-
বিমান চড়ে পৃথিবী ঘুরে বেড়াবার ;
দেখা হয়নি দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং-
মনোমুগ্ধকর নায়াগ্রার আছড়ে পড়া জলরাশি ।


ইচ্ছে হয় মহামতি বুদ্ধের আদলে নির্বাণ লাভ করি ।
অথবা-পবিত্র মাতা মেরীর পূত্র যীশুর
প্রত্যাবর্তনে পরিত্রাণ লাভের বৃথা প্রতিক্ষা।কিন্তু এক সময়-
সময় সবকিছু বদলে দেয়-
তখন পরিচিত অনেক কিছু বদলে যায়-
মানুষ, পরিবেশ এমন কী চিরচেনা কবিতা, তুমিও ।


হায় ! ছুটে চলা সময়-? তোমার ক্লান্তি নেই-
তৃষ্ণারও শেষ নেই,
সেই কবে নিযুত বছর থেকে নেশাগ্রস্থ ছুটে চলা
ফাইন্যাল ছোঁয়ার আর কত বাকি ?
নাকি?—তুমিও আমার মত নির্বাণ চাও ।
সময়, তোমার রথ থামাও ;
তুমি নির্বাণ লাভ করো ।