আকাশের ঐ
একটুকরো চাঁদ;
গভীর আধারের মায়া জাল
ছিন্ন করে এক মনোমুগ্ধকর
রাতের উপহার দেয় প্রকৃতিমাঝে;
অন্ধকারের শোভাকে ফুটিয়ে তুলতে
চাঁদ নিজের সব আলো উজার
করে দেয় নিঃস্বার্থ ভাবে আকাশবক্ষে।
প্রতিরাতে কবির মনে নিত্যনতুন ভাবনা
তোলে ঐ বাঁশ বাগানের মাথার ওপর
কাজলা দিদির ফেলে রেখে যাওয়া চাঁদমামা।
আকাশের সাজানো ওই চাঁদ আমাদের মানবজীবনে
উতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে;
সংসারের লক্ষী চাঁদপানা মুখ নিয়ে আসে গৃহে;
চাঁদের ম্লান আলোর মতো সারা জীবন
সে সংসারকে কোমল আলোয় ভরিয়ে রাখে;
তারপর সংসার জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য
চাঁদের কনায় পরিপূর্ণ হয়ে ঘরে আসে ছোট্টখাট্টো শিশু;
সারাবাড়ি সে মাতিয়ে রাখে চাঁদের জ্যোৎস্না দিয়ে।
আবার কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
লোকের মুখে শোনা যায় ;
আজ এখানে চাঁদের হাট বসেছে;
এই চাঁদের হাট বলতে অবশ্য
কিছু মানুষের মিলনকে ঈংগিত করছে;
এখানে স্ব্য়ং মানুষ কে চাঁদের সাথে তুলনা করা
হয়েছে কিন্তু তার রূপের মহিমা দেখে নয়;
শুধুমাত্র তার বিশেষ "গুন"কেই চাঁদের
অসীম আলোর সাথে তুলনা করা হয়।
তবে মানুষ্যমন সবসময় চাঁদ কে
ভালোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করে যাচ্ছে ;
কিন্তু চাঁদের অপূর্ব শোভার মুখেও
যে কলঙ্ক লেগে আছে সেই কলঙ্কের
দাগকে আমরা কোনোদিনও আপনকরে
নিতে পারি না ;
এটাই কি মানুষের আসল রূপ?