ওরা বললো “তুমি তিলে তিলে তিলোত্তমা হও”।
- তাতে আমার লাভ?
- আমাদের প্রয়োজন আছে।
তোমার লাস্যে মুগ্ধ দুই ভাই, অভিন্নহৃদয় , এক প্রাণ , এক আত্মা
এক লহমায় কৃপাণ চালাবে পরষ্পরের গলা লক্ষ্য করে।
- তাতে আমার লাভ?
- আমাদের প্রয়োজন আছে।
ওরা অপরাজেয়, আমাদের  রাজ্যচ্যুত করেছে।
ওরা দুজনে একসাথে দাঁড়ালে কারো সাধ্য নেই ওদের হারায়।
এক নারী বিভঙ্গ ই পারে ওদের বিভেদ করতে।
- তবে কি আমার রূপ লাবণ্য শুধু দুই দল যুযুধান পুরুষের প্রয়োজনে?
- হে রমণী, বৃথা তর্ক স্ত্রীলোককে  শোভা পায় না,
অবোধ নারী, তোমার কাম লাস্যে আমরা স্বর্গ রাজ্য আবার জিতে নেব।
ইন্দ্র হবে দেবরাজ, ঐরাবতের বৃংহণ আর উচ্চৈশ্রবার হ্রেস্রা
ভরে তুলবে নন্দন কানন।
পারিজাতের সুগন্ধ ও কৌস্তভ মণির ছটায় রম্ভা উর্বশীর নৃত্য হবে দেবভোগ্য।
অদিতির সন্তান ফিরে পাবে অমৃতের অধিকার
দেব রাজ্য হবে সুরক্ষিত, নিশ্ছিদ্র,  নির্ভেদ্য।
নারদের বীণা  চির কাল গাইবে এই অদ্ভুত আয়ূধের জয়গান,
নারী রূপের শিখায় পতঙ্গের  আত্মবলি গাথা ভেসে যাবে
যুগ থেকে যুগান্তরে। আর কি মহৎ প্রেরণা চাও তুমি?


এ গল্পটা সবাই পড়েছেন –
- অতঃপর অভিভূতা তিলোত্তমা আত্মদানের গরবে গরবিনী হয়ে
অপরূপা বেশে চললেন, স্বর্গবেশ্যার দলে নাম লেখাতে।
তিলোত্তমার লাস্যে, হাস্যে, কটাক্ষে ও তনু বিভঙ্গে
পরাজিত হল কাম দুর্বল অসুর,  জয়ী হল কূট বুদ্ধি দেবতার দল।
আর পুরস্কারস্বরূপ শেষ অধ্যায়ে  পুরুষ প্রধান পরাশর মনু
চিরন্তন বিধি লিখে গেলেন
“ নারী নরকস্য দ্বার”।