১৫
পিণ্ডরাফাঁড়ির তিনি


নিজের বাড়ি পিণ্ডরাফাঁড়ি
শ্বশুর বাড়ি কাছাড় ;
ধুলো-কাদায় সোজা হাঁটা ...
সোজা পথে আছাড় ।
কেতাবী সুরে নেতা বলেন,
ডান দিক ধর, বাঁ ছাড় ;
একগুয়েমি করবি যদি
তা হলে সটান গাঁ ছাড় ।
যা বলব তাই শুনবি,
সবেতেই হ্যাঁ, ‘না’ ছাড়…
ট্যাকস দিবি হাসবি কাসবি
ট্যাকস দিবি হাঁচার ।
গাঁ ছাড়লে ছাড়তে পারে
কিন্তু মানে  কী বাঁচার ?
নিজেকে না, মেয়ে-বৌকে
শ্বশুরবাড়িতে পাচার ।
ডানা ছড়াল বন্দী পাখি
দরজা খুলল খাঁচার…
কাসুন্দি আর ঘাঁটবে না ,
বানাবে নতুন আচার ।


১৬
যখন যা  তখন তা


ভাবলেই ভাবনা বাড়ে
তাই ভাবি না মোটে ;
ভাবের অভাব তবু স্বভাবে
জল ছল ছল  ঘটে ।

ঝরার কথা ভাবলে ফুল
পারত কী আর ফুটতে ?
ডোবার রথা ভাবলে সূর্য
পারত কী আর উঠতে ?


যখন যা তখন তা হবে
ভাবলে হবেটা কী ?
নদী তোলে ছন্দ ঢেউ
দিগন্তে যায় পাখি ।