৮৫
ফোকলা জামাইপুর


মহাদংষ্ট্রা জাগ্রত দেবী
ফোকলা জামাইপুরে ।
পুজোয় লাগে বর-দন্ত
তিন্দুপাতা মুড়ে ।


গাঁয়ের আইবুড়ো মেয়েরা
মন্দিরে ভিড় জমায় ।
মহাদংষ্ট্রার কৃপায় সবার
হিল্লে হয়ে যায় ।


কুমারী-কন্যা মানত করে
হবু স্বামীর দাঁত ;
দন্তলোভী  দংষ্ট্রাদেবী
আহ্লাদে কুপোকাত ।


বিয়ের পরে নতুন জামাই
ঢোকে বাসর-ঘরে,
সকৌতুকে শালা ও শালীরা
মুণ্ডু চেপে ধরে ।


নবীন বধূর হাতে তখন
সোনার এক সাঁড়াশি  ।
শ্রীমুখখানি লজ্জা-রঙিন
ঠোঁটের কোণে হাসি ।


বাসরঘরে ভিড়-ভাট্টা
পাড়া-পড়শীগণ  ।
দেখা নাকি অগাধ পুণ্য
দন্ত-উৎপাটন ।


সহাস্য বর, সহাস্য বউ
সাঁড়াশী কেন হাতে ?
কিছু বোঝার আগেই সাঁড়াশী
খটাস্ লাগে দাঁতে ।


ওপর পাটি ও নীচের পাটির
চার জোড়া দাঁত তুলে,
দেবীপুজো সারে কনে বউ
বরের দন্ত-ফুলে ।


ঢাক-ঢোল-কাঁসর বাদ্য
বাসর-রাত ভরপুর ;
আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতে
ফোকলা জামাইপুর ।


৮৬
নাচন-কোঁদার জামাই


টোকা মাথায় শ্বশুর বাড়ি  নাচন-কোঁদার জামাই ;
গাঁয়ের মুখে নাপিত থাকে ভুরুর চুল কামায় ।
          তারপর দড়ি পরিয়ে নাকে,
          কনে বউরা টানতে থাকে ;
মাথায় ভুসো-হাঁড়ি পরিয়ে কাক-তাড়ুয়া বানায় …
শালা-শালীরা সামনে বাজায় তালপাতার সানাই ।