পাখিদের স্বরলিপি গুন গুনিয়ে বয়।
বুলবুল, শালিক, সোনাবৌ, বেনেবৌ, টুনটুনি, টিয়া
এক অবাধ সুখের বিচরণ।
পাতার ছিদ্র ভেদ করে এক মুঠো রোদ পড়েছে
মুখের উপর।
আনমনা হয়ে চোখটা বন্ধ হয়ে গেল।
উষ্ণ অনুভূতিতে প্রাণ জড়িয়ে এক অজানা শিহরণ
ছড়িয়ে গেল সারা শরীর জুড়ে।
ঈর্ষার চোখ চেয়ে
নিপুণ ভঙ্গিতে কর্কশ কাক।
“জলে আগুন দেখেছ” ?
ওহে, ও মেয়ে -
হটাত্‍ চমকে গেলাম।
চোখে চশমা, হাতে লাঠি, পরনে খদ্দরের পাঞ্জাবি।
বুঝলাম প্রাত ভ্রমনপিপাসু।
কৌতুহলি হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম-
আজ্ঞে, আমায় বলছেন ?
“ভিতরটা খাঁ খাঁ মরুদ্যান,
হুলুস্থুলুস মেলা বসেছে মনে,
ফাগুন মনে আজ আগুনের স্নিগ্ধ শিহরণ।
তৃষ্ণা মেটেনা কাঙালিনী মনের আশ,
মুখেতে ফুটেছে আজ হৃদয়ের ক্যানভাস।
শুধুই কি পূর্বরাগ না অনুরাগ”?
মর্মবেদী শব্দ গুলো
মনের গভীরে তখনও প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে....
পথিক ধীর ধীরে গুণ গুনিয়ে দূরে অগ্রসর ।
বলতে পারিনি....
খুঁজতে গিয়ে, কবেই অন্ধকারে হারিয়ে গেছি।
                 - ফারুক মল্লিক (সত্ব সংরক্ষিত)