হ্যাঁ, আমি সেই নারী।
সংগ্রামে প্রতিদিন।
নিশিদিন বুকের মাঝে হাপর কেটে চলেছি....
যেন দুই কাঁধে সুবিশাল পৃথিবী।
জীবনের বাজি রেখে জন্মদাত্রী, কখনো কন্যা, সহধর্মিনী,
কখনো প্রেয়সী,
কখনোবা, তোমাদের তকমা দেওয়া ব্যাভিচারিণী।
সম কাজে কৃতিত্ব শুধু তোমার।
আর জগত্‍ সংসারে ঘানি টানায়, নীরব দীর্ঘশ্বাসটা আমার।
আমি শুধু তোমাদের চাহিদার সন্তান জন্ম দেওয়ার যন্ত্র।
সমাজ বুঝতেই চায়না –
কাল মেঘের কোলে অবজ্ঞায় আজ আমি সর্বশান্ত।
ধর্ষণ করেও তোমরা নিষ্পাপ,
আর ধর্ষিত হওয়াটা আমাদের পাপ।
হ্যাঁ, আমিই সেই আদিরসের পাত্রী।
আমিই সৃষ্টি, আমিই ধ্বংস, আমিই প্রতিপালনের ধাত্রী।
গোলাপ পাপড়ি, নরম তুলো মন।
কখনো স্বপ্নের পরী, কখনোবা আঁধার কালো নয়ন।
তোমাদের খুশির জন্য, নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে সর্বক্ষণ।
শুধু নির্বাক পৃথিবী!
ওহে সভ্যতা, সমাজের কঙ্কালসার ভদ্র চামড়ার আধুনিকতা,
আর কতদিন? কত যুগ? এভাবে অবহেলায় বাঁচতে হবে বলতে পার?
ওহে নারী, ওঠ, জাগো। আমরা নয় দূর্বল, অর্বাচীন।
অধিকারে আছে আমাদের সম অধিকার,
তবে আমাদের মনটাকে কেন করব পর্দাশীন?
কদম তুলে চলো, গর্জে তুমি ওঠ।
নয়ন মেলে দেখো, আলোর পরশ মাখ।
মাতৃ-রুপী পৃথিবীতে আমরাও স্বাধীন।


- ফারুক মল্লিক (সত্ব সংরক্ষিত)