ও রকম অভ্যাস আমার নেই। তা ছাড়া যাকে আমি জানিনা তার সম্পর্কে মূল্যায়ন করব কিভাবে। তাই সাধারন ভাবে আমার কয়েকটি ভাবনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বিষয় লেখালেখি:- ভেতর থেকে তাকিদ না আসলে কেউ লিখতে পারেনা। জোর করে লিখা হয়না। ভাল লিখা মনের কুটির হতে বেরিয়ে আসে।
বিষয়:- ধরুন একটি লিখা শুরু করলাম শিশুর খেলা নিয়ে। হঠাৎ খেলা ছেড়ে চলে গেলাম শ্রেণী কক্ষে কিংবা সৈনিকদের কুচকাওয়াজে। এই যে বিষয়ের পট পরিবর্তন এটা বোধ হয় মোটেই ঠিক না। প্রেমের দৃশ্যে প্রেম রাজনৈতিক মঞ্চে রাজনৈতিক ভাষ্য।
উপমা:- উপমায় দেখি কেউ কেউ বড় আনাড়ি উপমা টেনে আনেন। চোখের উপমা দিতে চাঁদকে টেনে আনা কি ঠিক। কবিতায় উপমার একটা বড় ভূমিকা থাকে।তবে উপমার সচেতন ব্যবহার করা চাই।
ছন্দ:- অনেক সময় ছন্দ মিলাতে ( বিশেষ করে ছড়ায় ) জোরাজুরি করেন কেউ। জোর করে ছন্দ মিলাতে গেলে লেখার আসল ভাব রস নষ্ট হয়ে যায়। স্রোতের মত গতি পায়না লেখা।
শব্দ:- ভাল লিখার ভাল একটি গুণ হল তার শব্দ। একজন ভাল লেখিয়ের প্রধান সম্পদ হল শব্দ। যে যত উত্তম ভাবে রপ্ত করতে পারবেন শব্দের ব্যবহার সেই তত উতরে যাবেন। ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় ঠিক শব্দটি ব্যবহার করতে পারলে পাঠকের কাছে আপনার আসনটি মজবুত ভাবে পেয়ে যাবেন। মান সম্পন্ন লেখা একদিনেই হয় না। এর জন্য খাটতে হয়। মনের ঝংকার শব্দে উপস্থাপন করতে হলে কিছু কৌশল আয়ত্বে আনতে হবে। অপ্রোয়জনীয় শব্দ ব্যবহার কারোরই ভাল লাগেনা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই ভাবনার ভেতর অসম্ভব বিশেষণ ব্যবহার করা একটি দুর্বল দিক। বিনা দরকারী কোন শব্দ লেখায় আমদানি করবেন না।বাগানে ফুলটি ফুটিয়ে দিন। দর্শক মোহিত হবে দেখে। বিচারের ভার ওদের হাতেই ছেড়ে দিন। আমার কথাগুলো আমার জন্য , আপনাদের কেউ কেউ কিছু বিষয়ে হয়ত একমত হবেন কেউ দ্বিমত। এটাই নিয়ম।