আজব কাণ্ড


       সুভাষ চ্যাটার্জি


ডাকে চিঠি দিতে গেছি পোষ্টাপিসে,
দেখি তারা করছে কী পোস্ত পিষে !
তারপর গেছি রেল ইষ্টিশানে,
ট্রেনে উঠে দেখি ভরা মিষ্টি পানে !
কিছু টাকা তুলি তবে, গেছি ব্যাঙ্কে–
দেখি টাকা রাখে ওরা জল-ট্যাঙ্কে !
কলেজ স্ট্রিটে গেছি, কিনব যে বই–
বই কোথা? দোকানে তো রাখা শুধু মই !
খুঁজি বই,তাই আমি যাই পাঠাগার
লোক নেই, সেথা চরে এতো পাঁঠা কার?
বই বিনা ফিরে যাই, উঠলাম ট্রামে–
দেখি ঢুকে পড়লাম আজব এক গ্রামে !
মাথা ঝিমঝিম, যাই হাসপাতালে
নেই রোগী, হোথা খেলে তাস মাতালে।
দূর ছাই,কাজ নাই, ফিরে যাই বাড়ি–
বাড়ি কোথা? চাকা ছাড়া মস্ত সে গাড়ি !
হেঁটে চলে যায় ঐ বন্ধু বরুণ
হেঁকে বলি,‘বাঁচা ভাই, ফেঁসেছি দারুণ‘ ।
বন্ধুকে ডেকে যেই বললাম সব,
বন্ধু কোথায়? এতো বন্ধুর শব !
বললে সে,‘ঘেঁটে গেছে তোর মস্তিষ্ক,
মন্দিরে পুজো দিস, সাথে মোষ দিস তো‘।
                      —০—