নগরী যখন নিদ্রামগন, কে তুমি আসিলে পাশে ?
কে তুমি আমার নিদ্রাহরণী? দেবী কি ডাকিছে দাসে?
হস্তে ধরালে যন্ত্রলেখনী, কর্ণে পশিল বাণী;
অক্ষম মোর লেখনী প্রান্তে তুমিই কি বীণাপাণি?
সাজায়ে দিতেছো শব্দ ছন্দে, গড়িছো  ভাবের তরঙ্গ;
সৃষ্টি করিছো কাব্যসুষমা, দেখিছো লুকায়ে রঙ্গ ।
যাও যবে চলি, কবিতার কলি হয় না ছন্দোবদ্ধ;
ভাব তরঙ্গ ত্যজিয়া সঙ্গ লেখনীরে করে স্তব্ধ।


বরেতে তোমার কবি কালিদাস হয়েছেন কৃপাধন্য,
তব কৃপা লাগি, দেবাশীষ মাগি, নর এ ক্ষুদ্র সামান্য !
তব কৃপা বিনা লিখি এক কণা, আছে কিবা মোর শিক্ষা?
তাই এ অধম ধরিতে কলম, মাগে তব কৃপা ভিক্ষা।
নাহি তো সাধ্য, হে আরাধ্য, তোমা বিনা লিখি আমি;
লেখনী ধরিতে আশীষ মাগিতে, চরণে তোমারি প্রণমি।
                          —০০০—